২০১৯ সালে বিচার বিভাগের যত সফলতা

মো. তাজুল ইসলাম
| আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫৭ | প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৩৫
মো. তাজুল ইসলাম

বিদায় ২০১৯ সাল। নতুন বছরে সবকিছু নব উদ্যমে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা পুরাতন বছরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। বিচার বিভাগ যত সফলতা ২০১৯ সালে অর্জিত হয়েছে তা সবিস্তারে না হলেও মূল দিক তুলে ধরবো এই লেখার মধ্যে। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের এক যুগ পরে এসে এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি এই বছরে সবচেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বছরকে আমরা ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বছর বলতে পারি অকপটে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেস, জনস্বার্থে ও রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কেস এই বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে ৬ এপ্রিল ২০১৯ কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার ২৪ অক্টোবর ১৬ জন আসামির ফাঁসির আদেশের মাধ্যমে নিষ্পন্ন হয়েছে। এই কেসটি বিশ্বব্যাপী নিউজে কাভারেজ পায়। নুসরাত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আত্মহুতি দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন তিনি প্রতিবাদী নারী। এখানে ভিকটিমের পরিবারকে রাষ্ট্র দ্রুতগতিতে ন্যায়বিচার দিতে পেরেছে। দেশ আজ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে বলে নুসরাত হত্যার বিচার হয়েছে।

১ জুলাই, ২০১৬ , রাত পৌনে ৯টায় ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ২২ জনকে হত্যার দায়ে নব্য জেএমবির সাত সদস্যের ফাঁসির রায় দেয় আদালত গত ২৭ নভেম্বর। সর্বোচ্চ সাজা অর্থ্যাৎ ফাঁসির আদেশ পায় জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আরও দুটি ধারায় তাদের কয়েকজনের দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড। বিচারক তার রায়ে বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে আসামিরা ‘জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ’ ঘটিয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।

১২ ডিসেম্বর ২০১৯ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় (Zia Orphanage Trust and Zia Charitable Trust corruption cases) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ শুনানি শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই আদেশ দেন। আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও এ বিষয়ে তার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সম্মতি দিলে Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) Hospital মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। এর আগে একই দুর্নীতির কেসে ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়।

এই প্রথম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গত ২২ আগস্ট ২০১৯ দুর্নীতির দায়ে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত কার্যতালিকায় অন্য বিচারপতিদের নাম ও বেঞ্চ নম্বর উল্লেখ থাকলেও তিন বিচারপতির নাম রাখা হয়নি। এই তিন বিচারপতি হলেন—বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি একেএম জহুরুল হক। তবে কোন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৬ মে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিম্ন আদালতের মামলায় হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহুরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের বিরুদ্ধে।

গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে নতুন মামলা (Filing) এবং হলফনামা দাখিল (Affidavit) শাখার ৩১ কর্মকর্তা কর্মচারীকে অন্য শাখায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এদের বদলি করা হয়। আগের দিন সোমবার আপিল বিভাগে একটি মামলা যথাযথভাবে কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা উপর নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে।

এ সময় প্রধান বিচারপতি এফিডেভিট (Affidavit) শাখায় অনিয়ম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সিসি কামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মামলা ফাইলিং ও এফিডেবিট শাখা থেকে অন্য শাখায় বদলি করা হয়েছে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ পরিবেশ দূষণ রোধ, মৌলিক মানবাধিকার ও আইনগত অধিকার রক্ষায় এবং জনস্বার্থে (Public Interest Litigations (PIL) অনেক নির্দেশনা প্রদান করেছেন যা অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।

গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড়ে ৬৮টি সুয়ারেজ লাইনের বাইরে যদি আরো কোনো ড্রেন বা সুয়ারেজ লাইন থাকে তবে তা ৭ জুনয়ারি মধ্যে বন্ধ করতে বিআইডাব্লিউটিএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া আদালতে দাখিল করা ২৭টি প্রতিষ্ঠানের বাইরে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া আর কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে কিনা তার তালিকা দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষন রোধে এ ধরনের আদেশ যুগান্তকারী। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (Human Rights and Peace for Bangladesh) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। এদিকে আদালত বলেছেন, ভূমি বা রাস্তার উপরিভাগের ড্রেন বাদে বুড়িগঙ্গায় যে ৬৮টি সুয়ারেজ লাইন বা ড্রেনেজ পড়েছে তা বন্ধ করার দায়িত্ব ওয়াসার। বুড়িগঙ্গার পানি দূষণমুক্ত রাখার স্বার্থেই এসব সুয়ারেজ লাইন ওয়াসার বন্ধ করা উচিত।

এইচআরপিবির (HRPB) করা এক রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এছাড়া নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সেজন্য সব ধরণের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

২৩ অক্টোবর ২০১৯ লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়ন করা না হলে যানবাহনে তেল-গ্যাস না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নবায়নের জন্য আরও দু’মাস সময় দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়ন ছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ গাড়ির মধ্যে ৮৯ হাজার ২৬৯ গাড়ি ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ রোড টান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এ পরিপ্রেক্ষিতে অবশিষ্ট যানবাহনকে লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়নের জন্য আরও দুই মাস সময় বেঁধে দেন আদালত।

এর আগে গত ২৪ জুন ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

বিআরটিএ’র দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে এ বছর ছয় কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৩ জুলাই নবায়ন না করা গাড়িগুলোর দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করার নির্দেশ দেন। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব যানবাহনের লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়ন শেষ না হওয়ায় নতুন করে আরও দুই মাস সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।

১২ মে, ২০১৯ - বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৫২ পণ্য বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় পুনরায় উত্তীর্ণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ - বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিশের ওপর দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। এদিকে উক্ত টাকা পরিশোধ না করে গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনর কোম্পানি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে বেআইনিভাবে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে ।

রাজশাহীর শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলা্ম এর মেয়ের দাখিলী এজাহার (FIR) রাজশাহী পুঠিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ পরিবর্তন করার কারণে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬৬ ও ১৬৭ ধারায় কেন শাস্তি ও মামলা করা হবে না এবং ওই একই রিট পিটিশনে মাননীয় বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ পুলিশের আইজিপিকে পুলিশ সদর দপ্তরে জমাকৃত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করে অভিযুক্ত পুলিশকে শাস্তির আওতায় এনে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করে।

গত ১০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে তিন বছর আগে ছুরি মেরে হত্যার দায়ে দরজি দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল হকের ফাঁসির রায় দেয় আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামি ওবায়দুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মামলার রায়ে। এধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য এই রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কালশি ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমে সেখানে দাঁড়ায়। এসময় পেছন থেকে জাবালে নূরের আরেকটি বাস দ্রুতগতিতে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজীব ও দিয়া। আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায়, ওই মামলায় ১ ডিসেম্বর ২০১৯ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তারিখে প্রতিযোগিতাকারী দুই বাসের চালক ও এক সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন−জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহ, আরেক গাড়ির চালক জোবায়ের সুমন ও হেলপার আসাদ কাজী। আসাদ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলার বাকি দুই আসামি হেলপার এনায়েত হোসেন এবং বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে খালাস দেওয়া হয়।

পরিশেষে বলতে চাই, ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে গত ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রীসহ আরও অনেক মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত করা। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিচারক তথা বিচার বিভাগের বিদ্যমান সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাস পাওয়া।

লেখক: বিচারক, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :