চীনা চিকিৎসকদের সফরে আমরা উপকৃত হচ্ছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অভিজ্ঞতা থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বুধবার সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সঙ্গে সিলেট ও চট্রগ্রামের চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও চীন পারস্পারিক সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন।’

চীনের উহানে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘চীনের উহান প্রদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সারা বিশ্ব অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। চীন সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার শিকার হয়। করোনার ভয়াবহতা মোকাবিলায় চীনের সফলতা সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে।’

চীন করোনা মোকাবিলায় জরুরি হাসপাতাল নির্মাণ, কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলাসহ দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে জানান মোমেন।

কারোনা চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য গত ৮ জুন ১০ সদস্যের চিকিৎসক দল ঢাকায় আসেন। তারা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এই সময়ের মধ্যে তারা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে চীনের অভিজ্ঞতাসহ কিভাবে এই পরিস্থিতিতে থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে বিষয়ে সাহায্য করছেন।

করোনা বৈশ্বিক সমস্যা অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বের সকল দেশকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে মনে করেন। এবং সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চীন সরকার এবং দেশটির বেসরকারি সংস্থা আলিবাবা এবং জ্যাকমা ফাউন্ডেশনকে বাংলদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান মোমেন। তিনি এই সহযোগিতাকে বাংলাদেশের প্রতি চীনের জনগণ ও সরকারের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন।

এ সময় মোমেন করোনা পরিস্থিতিতে উহান প্রদেশসহ চীনের বিভিন্ন অংশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য চীন সরকার ও সেদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট এমজি ওসমানি মেডিকেল কলেজের পরিচালক এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সংযুক্ত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এনআই/জেবি)