‘১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত’

আইন সংশোধন করে হলেও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে মারা গেছে তাদের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করারও দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রণালয় উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ ‘বঙ্গবন্ধু: মানব ইতিহাসে মৃত্যুহীন এক মহাপ্রাণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রবন্ধে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আজও আমরা পরাধীন থাকতাম। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিতশক্তি বিশেষের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী একদল ঘাতক ও খুনি সেদিন শুধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকেই হত্যা করেনি, আমাদের জাতির পিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকেই হত্যা করে। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ভিত্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পাকিস্তানি সামরিক, বেসামরিক ও সাম্প্রদায়িক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া। অতএব এ হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই হত্যাকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহী ও মানবতার শত্রু। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেনারেল জিয়া ও খোন্দকার মোশতাক যে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল ১৫ আগস্টের পূর্বাপর ঘটনাবলী তা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে। তবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকে যে জড়িত ছিল তাতে সন্দেহ নেই।
উপাচার্য বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজনে এখন সময় হয়েছে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা। যারা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে তাদেরও মরণোত্তর বিচার হওয়া আবশ্যক।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি, এক ও অভিন্ন সত্ত্বা। জাতির পিতা মুজিবের মৃত্যু নেই।
(ঢাকটাইমস/২০আগস্ট/বিইউ/এলএ)

মন্তব্য করুন