বিয়ের পর দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকরী ভেষজ খাবার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৯ | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১৪

সাধারণত বিয়ের পর হঠাৎ করেই স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু পুরুষের বাড়তি ওজন তেমন বেশি চোখে পড়ে না। কিন্তু স্ত্রীর ক্ষেত্রে তার উল্টোটাই হয়। বিয়ের পর কখনো স্বামী আবার কখনো স্বামীর পরিবারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে নারীর রুচি বদলে যায়। লাগাতার ভাবে আপস করতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্নের ফাঁক থেকে যায়। নতুন পরিবেশের সাথে নতুন জীবনসঙ্গীর পছন্দের সাথে মিল রাখতে গিয়েও নিজের পছন্দের-অপছন্দের গুরুত্ব হারায়। যার ফলে শুরু হয় মেদবৃদ্ধি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বাড়ে। এ ছাড়া বিয়ের পরপরই হয়তো মেয়েরা নিজের দিকে তাকানোর সময় কম পায়। এবং ব্যায়ামের জন্যও সময় কম দেয়। তবে কিছু পরামর্শ মেনে চললে বিয়ের পর এই ওজনাধিক্যের সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব। শুধু সৌন্দর্য নয়, সুস্থতার জন্য বিয়ের আগে ও পরে সব সময় ফিট থাকতে হবে সবাইকে। তাই ওজন ঠিক রাখতে জেনে রাখুন কিছু কার্যকরী টিপস।

নিজের খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন আনা চলবে না। সঠিক সময়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। একেকটি পরিবারে খাওয়ার সময় একেক রকম হয়। লজ্জা না করে নিজে সব সময় যেই সময়ে খান, সেই সময়েই খাওয়া সেরে ফেলুন। চেষ্টা করুন রাতের খাবারটা অন্তত খুব বেশি দেরি করে না খেতে।

ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। নতুন পরিবেশে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগান দেবে এই ভিটামিন বি।

শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে মোটা হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। সেই জন্য চা, কফি খাওয়া একটু কমিয়ে দেওয়াই ভাল। আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে ভুলবেন না।

ফিট থাকার নিয়ম মেনে না চললে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আপনার চেহারায় বদল আসবেই। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট নিজের শরীরচর্চার জন্য বের করুন।

নতুন বিয়ের পর নানা জায়গায় পার্টি, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরিটা অনেকটাই বেড়ে যায়। বলাই বাহুল্য যে অনিয়মও হয় প্রচুর। এই অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে আপনাকেই।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বাদ দিয়ে অন্য কোনও ব্যবস্থা বেছে নিন।

একজন ডায়েটিশিয়ান দেখিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন এবং ঝটপট ওজন কমাতে সেটা মেনে চলুন।

গৃহবধূ হলে ঘরেই চেষ্টা করুন পরিশ্রমের কাজগুলো করতে, বসে থেকে আলসেমী ধরতে দেবেন না।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর ওজন বৃদ্ধি হয় কম কায়িক পরিশ্রম এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। শরীর যদি ভারী হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ওজন কমানোই একমাত্র উপায়। একটা কথা মনে রাখা দরকার যে ভুল খাদ্যাভ্যাসই কিন্তু ওজন বাড়ার ও পেটে চর্বি জমার মুখ্য কারণ। সঠিক ডায়েট মেনে শরীরের ওজন কমানোর জন্য দ্রুত ওজন কমায় যে সমস্ত কার্যকরী ভেষজ খাবার:

গ্রীন টি

গ্রীন টি-কে মিরাকেল বললেও কম বলা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রীন টি ওজন কমানোর ব্যাপারে খুবই উপযোগী। এটি আপনার মেটাবলিজমকে দ্রুততর করে দেয়। যার ফলে চটজলদি ওজনও কমতে থাকে। অতিরিক্ত মেদকে বার্ন করতেও এটি কার্যকরী। দিনে তিন কাপ গ্রীন টি অনায়াসে খেতেই পারে। তাজা গ্রীন টি গরম পানিতে ফেলে দিন আর বানিয়ে নিন এই স্বাস্থ্যকর পানীয়। সঙ্গে মিশিয়ে নিন একটু আদার রস, লেবুর রস বা পুদিনা পাতার রস।

ওটস

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ওটস খুবই কার্যকর। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের চারপাশে জমা ফ্যাট বার্নে সাহয্য করে। নাশতায় ওটসের সঙ্গে দুধ, ফল আর বাদাম মিশিয়ে খান। এর থেকে আপনি কার্বোহাইডেট, প্রোটিন এবং দরকারি ফ্যাট পাবেন।

আমন্ড

আমন্ডে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিনও আছে। যা ওজন কমাতে সাহায্যতো করবেই এবং আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিবে।

অলিভ অয়েল

অন্যতম পুষ্টিকর তেল। এতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। কুকিং অয়েলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

বিনস এবং ডাল

এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। এটি ডায়েটে রাখলে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো সম্ভব হবে। বিনস ও ডালে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। দুপুরে ও রাতে অবশ্যই এক বাটি করে ডাল খান যা পেটের মেদ কমিয়ে দেবে।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। এটি শরীরের ফ্যাট সঞ্চয়ের শক্তিকে কমায় এবং অন্যদিকে ফ্যাট বার্নের ক্ষমতাকে বাড়ায়। সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে দিনে দু’চামচ ভিনেগার আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহয্য করবে।

এছাড়া অল্প অল্প করে বারে বারে খান, প্রতি দুই ঘন্টায় একবার করে খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। রিফাইন্ড চিনি ও রিফাইন্ড ময়দা দিয়ে বানানো খাবার যেমন ডোনাট, মিষ্টি, ক্যান্ডি এসব খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। প্রতিদিন ১২-১৫ গ্লাস পানি খান। খাবারের পরিমাণের দিকে নজর দিন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। স্ট্রেস কমাতে যোগ ব্যায়াম করুন। যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমান। এতে আপনার স্বাস্থ্য আরো উন্নত হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :