মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং বড় চ্যালেঞ্জ: মেয়র আতিক
মশক নিধন কার্যক্রমে নিযুক্ত কর্মীদের মনিটরিং করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তাদেরকে মনিটরিং করার জন্য বায়োমেট্রিক ও ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন উত্তর সিটি মেয়র।
বুধবার সকালে মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মশক নিধনে করপোরেশনের ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং করা। এজন্য আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। আমাদের এক হাজার ২০০ জন মশক কর্মীদের মনিটরিং করার জন্য প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক চালু করতে যাচ্ছি। এতে তারা সময়মতো আসছে কি না? আসার পর কাজ করছে কি না, সেটা দেখার জন্য প্রত্যেক মশক কর্মীকে ট্র্যাকারের মাধ্যমে চিহ্নিত করব। এজন্য ট্রাকার পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। এই মনিটরিংটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
খাল পরিষ্কার ও মশক নিধনে করপোরেশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করছি। কেউ ঘরে বসে নেই। আমি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঠে থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। ফুটপাতের ড্রেন এখন বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফুটপাতের নিচে যে ড্রেনগুলো রয়েছে সেগুলোতে ফগিং করা হচ্ছে। তারপর লার্বিসাইডিং করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে মশাটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাই মশা নিধন, খাল পরিচ্ছন্নতায়।
মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসী কতদিনে স্বস্তি পাবে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, কত দিন না, চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এটা অব্যহত রাখব।
এসময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা. আমিরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাসেম, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিমউল্লাহ (সলু), ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/কারই/কেআর)