প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণার কারণ ও প্রতিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৯
অ- অ+

সাধারণত তীব্র তাপদাহে অর্থাৎ গ্রীষ্মের সময় অনেকেরই প্রস্রাবে অস্বস্তি হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি হয়। এটি কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই খুব প্রচলিত সমস্যা। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের সমস্যাটি বেশি হয়। এই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির জন্য দায়ী হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের (Fungus) কারণেও প্রস্রাবে জ্বালা হয়ে থাকে।

এছাড়াও যেই সমস্যাগুলো থাকতে পারে তা হলো-

প্রস্রাবের সময় জ্বালা-পোড়ার সাথে সঙ্গে পিঠের পেছনে উদরের নিচে ব্যথা হয়।

ঘনঘন প্রস্রাবের ইচ্ছে হলেও অল্প প্রস্রাব হয় , ঘোলাটেট (pale yellow), গন্ধযুক্ত (odd smell in urine) এবং রক্ত সমন্বিত (blood with urine) প্রস্রাব হতে পারে ।

এছাড়া যৌন মিলনেও ব্যথা (pain in sexual intercourse) অনুভব হয় ।

প্রসাব ধরে রাখতে না পারা ।

কোমর ব্যাথা (pain in waist area), দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা এবং সুয়ে থাকলে ব্যাথা কমে যাওয়া ।

প্রস্রাবে এ জ্বালা-পোড়া হওয়ার কারণসমূহ

প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়ার একটি কারণ হতে পারে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই (UTI)।

আর পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থির বিভিন্ন সমস্যার জন্য এটি হতে পারে ।

জরায়ুমুখের প্রদাহ (pain in cervical entrance), যোনিপথে ছত্রাক সংক্রমণ বা ক্ল্যামাইডিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে ।

এ ছাড়া তলপেটে ব্যথা (pain in lower abdomen), মাসিক ব্যথা (menstrual pain), ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects of medicine), সাবান বা কসমেটিকস বা প্যাডে অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে ।

ডায়াবেটিস (Diabetes ), কিডনি বা পাথর সমস্যা (stone in kidney)।

এসব কারণ ছাড়াও যৌনবাহিত রোগ, ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন (vaginal infection )।

মাসিক এর সময় দীর্ঘসময় প্যাড পরে থাকা ।

পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন (Dehydration) এগুলোর কারণেও কিন্তু প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া সমস্যা হতে পারে।

করনীয়

পানিপানের পরিমাণ বাড়ান বাড়াতে হবে ( Increase the consumption of water)। পানিপানের পরিমাণ বাড়ালে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়ার সমস্যা কম হবে। পানি শরীর থেকে দূষিত ব্যাকটেরিয়াগুলো বের করে দেবে। এটি প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হলে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

যেমন- স্যুপ, মিল্ক স্যেঁক, লেবুর শরবত, ইসবগুলের ভুসির শরবত, রুহ-আফযা, লাচ্ছি , ডাব , জ্যুস এবং পাশাপাশি পানিজাতীয় ফল ও সবজি খেতে হবে। গরম সেঁকও দিতে পারেন। এতে ব্লাডারের চাপ কমবে এবং ব্যথা কমবে। এ জন্য আপনি হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো কাপড় চুলার তাপে গরম করে পেটে ব্যবহার করতে পারেন ।

প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া উচিত। মাসিক চলাকালীন আমিষ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সময় আমিষের বদলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এ জাতীয় সমস্যায় দেখা অবশ্যই দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ।

ডা. মো. ইসমাইল হোসেন, ডিএইচএমএস (এফএইচএমএস)

Email:- [email protected]

ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এসকেএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দোহার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক গ্রেপ্তার
‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাল ইয়েমেন
সুবর্ণচর এক্সপ্রেস দ্রুত চালুর দাবিতে নোয়াখালীতে দেড়ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ 
জেফারের তীরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শক-শ্রোতার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা