দ্রুত শান্তি না এলে আরও ভয়াবহ হামলা হবে: ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর এবার আরও কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য গত আট দিনের চেয়েও ভয়াবহ ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে।”
রাতে ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “মনে রাখবেন, আমাদের লক্ষ্যবস্তুর তালিকা এখনো অনেক বাকি। আজ রাতের হামলা ছিল এতদিনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে, আমরা আমাদের অবশিষ্ট লক্ষ্যগুলোতে সুনির্দিষ্ট, দ্রুত ও দক্ষতার সাথে হামলা চালাবো।”
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরান সংকটে এখন আরও আগ্রাসী নীতির দিকে ঝুঁকছে। তার কথায় একটি দ্ব্যর্থতা রয়েছে—যেখানে শান্তির আহ্বান রয়েছে, কিন্তু এর অনুপস্থিতিতেই ভয়াবহ সামরিক প্রতিশোধের আশঙ্কাও তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, তারা ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—সফল হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, এই হামলায় অত্যন্ত ভারী বোমা ব্যবহার করা হয়েছে এবং সব বিমান ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তারা আগেই এসব পারমাণবিক স্থাপনা খালি করে ফেলেছিল, ফলে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সর্বশেষ হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে। একইসঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও কূটনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাম্পের ‘শান্তি না হলে হামলা’ বার্তায় এখন প্রশ্ন—ইরান এই বার্তা কীভাবে গ্রহণ করবে? এবং আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবে? উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কূটনৈতিক সংযম ও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ।
(ঢাকাটাইমস/২২ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন