যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি আয়াতুল্লাহ খামেনির: “মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে আমেরিকা”

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা তাদের জন্য “মারাত্মক ক্ষতির কারণ” হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, খামেনির টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে তার একটি পুরোনো টেলিভিশন ভাষণের ভিডিও আবার শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে খামেনিকে বলতে শোনা যায়, “যদি আমেরিকা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তবে তা তাদের নিজেদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়ে বহু গুণ বেশি হবে।”
এই মন্তব্য আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর। ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে দাবি করেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে—অত্যন্ত সফলভাবে হামলা চালিয়েছি। বর্তমানে আমাদের সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে।”
এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। ইরান দাবি করেছে, হামলার আগে তারা এসব স্থাপনা খালি করে ফেলেছিল, তাই উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, বরং আগাম সতর্কবার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যেই এই হামলাকে “মধ্যপ্রাচ্যে বিপজ্জনক উত্তেজনা” বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “এই সংঘাত ভয়াবহ গতিতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠতে পারে।”
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এই বার্তা ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান কৌশলগতভাবে যেমন প্রস্তুত, তেমনি মনোবলেও অটুট রয়েছে। সংঘাত যদি গাঢ় হয়, তবে সেটি শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কা বাড়ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
(ঢাকাটাইমস/২২ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন