ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান—এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় রাতে একযোগে হামলা চালানো হয়।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমান হামলা শেষে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে এবং তারা এখন দেশে ফিরে এসেছে। তিনি এই হামলাকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা জানায়, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোম প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরও কিছু অংশ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে লেখেন, “মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফোরদো স্থাপনাতেও ভারী বোমা ফেলা হয়েছে।” তিনি একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে দাবি করা হয়—ফোরদো ‘পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সত্ত্বেও ইরান বলছে, হামলার আগে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র থেকেই তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। হামলার শিকার তিনটি কেন্দ্রে আর কোনো পারমাণবিক উপাদান ছিল না। সুতরাং বড় ধরনের ক্ষতির প্রশ্নই ওঠে না।”
ইরনা বার্তা সংস্থাও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তু তিনটি কেন্দ্রে বর্তমানে এমন কিছু নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ (রবিবার) রাত ১০টায় (ওয়াশিংটন সময়) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই ভাষণে তিনি ইরানের পারমাণবিক হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে এই ঘটনার তাৎপর্য এবং পরিণতি নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা। নতুন করে পারমাণবিক উত্তেজনা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা নিয়েই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
(ঢাকাটাইমস/২২ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন