ইভ্যালি থেকে রাসেল দম্পতি বেতন নিতেন ১০ লাখ, সাভারে বিপুল সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:১১ | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০২

অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল পদাধিকার বলে নিজেরা মাসিক ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা বেতন নিতেন। তারা কোম্পানির টাকায় ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি (রেঞ্চ রোভার ও অডি) কিনে ব্যবহার করতেন।

শুক্রবার সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী পদাধিকার বলে নিজেরা মাসিক ৫ লাখ টাকা করে মোট দশ লাখ টাকা বেতন নিতেন। তারা কোম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি (রেঞ্চ রোভার ও অডি) ব্যবহার করতেন। এছাড়া কোম্পানির প্রায় ২৫-৩০টি যানবাহন রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে সাভারে রাসেলের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা-জমিসহ অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।

কমান্ডার মঈন বলেন, ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি পেমেন্ট গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি গ্রাহকের টাকা আটকা হয়ে আছে বলে রাসেল জানান।

গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে জানিয়েছেন, রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে তিনি ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। তিনি প্রায় ৬ বছর ব্যাংকে চাকরি করেন। ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন রাসেল। তিনি প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং এরপর তিনি ওই ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে আগের ব্যবসালব্ধ অর্জিত অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিতে তিনি সিইও ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।

র‍্যাবের মুখপাত্র মঈন আরও বলেন, ইভ্যালির ব্যবসায়িক অবকাঠামো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভাড়া করা স্পেসে ধানমণ্ডিতে প্রধান কার্যালয় এবং কাস্টমার কেয়ার স্থাপিত হয়। একইভাবে ভাড়া করা স্পেসে আমিন বাজার ও সাভারে দুটি ওয়ার হাউজ চালু করে। কোম্পানিতে একপর্যায়ে প্রায় দুই হাজার ব্যবস্থাপনা স্টাফ ও ১৭০০ অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ ছিল। যা ব্যবসায়িক অবনতিতে বর্তমানে যথাক্রমে স্টাফ ১৩০০ জনে এবং অস্থায়ী পদে প্রায় ৫০০ জন কর্মচারীতে এসে দাঁড়িয়েছে। কর্মচারীদের একপর্যায়ে মোট মাসিক বেতন বাবদ দেওয়া হতো প্রায় ৫ কোটি টাকা। যা বর্তমানে ১.৫ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। তবে গত জুন থেকে অনেকের বেতন বকেয়া রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এসএস/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

জঙ্গি সংগঠনে জনবল দিতেন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা, ডিবির হাতে ধরা

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৬

১০৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ইউসিবিএলের সাবেক এমডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাল সনদে চাকরি: মোটরযান পরিদর্শক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩

বহিষ্কৃত কাউন্সিলর শিপলুর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখার ডিভাইস দিতো চক্রটি, ৫ মিনিটে শেষ হতো উত্তর

চক্রের টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ, চাকরির প্রলোভনে ভারতে নিয়ে কিডনি বিক্রি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এজাহারভুক্ত পলাতক সদস্য গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :