গাইবান্ধার সেই নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের জানাজায় জনস্রোত

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় অতর্কিত হামলায় নিহত সেই নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রউফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজার সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয় বায়তুল করিম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ আলী।

স্কুলশিক্ষক আবদুর রউফের জানাজায় অংশ নিতে দুপুর থেকেই মাঠে জড়ো হতে থাকে দূর-দূরান্ত থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা।

মুসল্লিরা জানায়, জানাজা স্থানীয়রা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-ছাত্র ও তার বন্ধুবান্ধবরা অংশ নেয়। সব মিলে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম হয় তার এই শেষ বিদায়ী অনুষ্ঠানে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজ হেঁটে পার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় একই গ্রামের এক যুবক লোহার রড দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রউফের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যান ওই যুবক।

পরে রউফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বজনরা বলছেন, রউফের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম আরিফ।

রউফের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে আগুন দেয়।

এদিকে রাত থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থার মধ্যে শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে শতাধিক পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সন্দেহভাজন আরিফ ও তার স্বজনদের বাড়িতে আগুন দেয়।

এর আগে বিচার দাবিতে দেড় ঘণ্টা গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা ফেলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এলএ)