আগৈলঝাড়ায় দেড় হাজার পিস থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি উদ্ধার

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাটির নিচে ১ হাজার ৫৫০ পিস থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব গুলি ৫০ বছরে আগের।
শুক্রবার সকালে বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খনন করার সময় এসব গুলি পাওয়া যায়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধারের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম, ওসি মাজহারুল ইসলাম, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটুসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উদ্ধারকৃত গুলিগুলো থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম জানান- সরকারিভাবে ভূমিহীনদের বাড়ি নির্মাণের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া মৌজায় ৩০ শতক জায়গা ক্রয় করে সরকার। ওই জায়গায় ১৫টি পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। শুক্রবার সকালে বাড়ির কাজের জন্য লে-আউট দিতে মাটি খনন করতে গিয়ে মাত্র এক-দেড় ফুট নিচে শ্রমিকেরা ওই গুলি দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করে। এ সময় কৌতূহলী শিশুদের এসব গুলি মাটি থেকে তুলতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ’৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের ওই স্থানে রাজাকার ক্যাম্প ছিল। ধারণা করা হচ্ছে দেশ স্বাধীনের পরবর্তী সময়ে রাজাকাররা এসব গুলি মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। যা মাটি খননের সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গুলি উদ্ধারের খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই মিল্টন মন্ডলসহ সঙ্গীয় ফোর্সরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করা বন্দুকের গুলি তাদের হেফাজতে নেয় এবং জব্দ তালিকা তৈরি করেন।
ওসি মাজহারুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, পরিত্যক্ত ও নিস্ক্রিয় অবস্থায় উদ্ধারকরা ১ হাজার ৫৫০ পিস গুলি তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। এই গুলিগুলো শক্তিশালি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও এলএমজি’তে ব্যবহার করা করা হয়। গুলিগুলো ৫টি করে প্রসেস অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এগুলো অর্ধশত বছর আগে থেকে মাটির নিচে থাকায় মরিচা ধরে নিস্ক্রিয হয়ে গেছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, হিন্দু মালিকানাধীন ওই বাড়িটিতে স্থাপন করা হয় পিচ কমিটির ক্যাম্প। দেশ স্বাধীনের পরে স্থানীয় কিসমত সরদার দখল করে নেয়। পরে কিসমত সরদারের ছেলে পলাশ তাদের দখল করা বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে হাত বদল হয়ে সোহরাব ও শাহ আলম নামের দুই ভাই এই জমির মালিকানা নিয়ে পায়। বর্তমানে এর একটি অংশ সরকার ক্রয় করে।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন