পায়ের নখে ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১২:০৭ | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২২, ০৯:১৭

গরমে শরীরে অন্যান্য অংশের মতো আপনার পায়েরও ক্ষতি হয়। বিশেষ ঘরে পায়ে ঘাম জমে অনেক সময়ে নখে ফাংগাস ইনফেকশন হয়। ফলে পা থেকে সহজেই দুর্গন্ধ বেরোনোর প্রবণতা থাকে। পায়ের নখে সাদা, বাদামি বা হলুদ ভাব দেখা দেয়, বিবর্ণ হয়ে যায়। তাই পায়েরও যথাযথ যত্নের প্রয়োজন।

পায়ের নখের ফাঙ্গাল ইনফেকশনকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ওনেকোমাইকোসিস’ বলে । রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত ফাঙ্গাসরোধী ওষুধ ব্যবহার করেন। তবে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। যা থেকে পেটে সমস্যা, মাথা ঝিমঝিম ভাবসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে রোগের মাত্রা বেশি না হলে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। হয়। খুব খারাপ অবস্থা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে তার আগে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করা যায়।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার

অ্যাপল সিডার ভিনেগারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। গামলায় অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ও অ্যাপল সিডার ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে এতে ১৫ মিনিটের জন্য পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গামলা থেকে পা তুলে তোয়ালেতে পা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এবারে একটি পাত্রে সমপরিমাণ (৫ ফোঁটা) টি ট্রি অয়েল, থাইম অয়েল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে পায়ের নখে তেলের মিশ্রণ ম্যাসাজ করতে হবে। আধা ঘণ্টার জন্য পায়ে তেল রেখে দেওয়ার পর পরিষ্কার ব্রাশের সাহায্যে নখের আশেপাশের অংশ ম্যাসাজ করে নিতে হবে এবং কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে তোয়ালের সাহায্যে শুকিয়ে নিতে হবে। ইনফেকশনের ধরন অনুযায়ি একদিন পরপর এই নিয়মে পা পরিষ্কার করতে হবে।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডার প্রকৃতি হলো অ্যালকেলাইন। এটি ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি কমাতে চমৎকার ঘরোয়া উপাদান। বেকিং সোডা ও পানির পেস্ট তৈরি করুন। ২০ মিনিট এটি পায়ে দিয়ে রাখুন।

হলুদ

এটি অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি রোগের প্রতিকারে এবং রোগটি আবার হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে। পানির মধ্যে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া নিন। এটি আক্রান্ত স্থানে দিন। তিন থেকে চার ঘণ্টা এভাবে রাখুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

রসুন

এটি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি পায়ের নখের ফাঙ্গাস প্রতিকারে উপকারী। রসুনের কিছু টুকরো থেঁতলে নিন। হালকা গরম পানির মধ্যে এটি দিন। আক্রান্ত স্থানকে এর মধ্যে ভেজান। যত দিন পর্যন্ত সমস্যা শেষ না হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজ

পেঁয়াজের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানের কারণে এটি ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে ধ্বংস করে। পেঁয়াজের টুকরোকে সামান্য স্লাইস করে নিন। একে পাঁচ মিনিট আক্রান্ত নখের মধ্যে ঘষুন। একে ২০ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন নখে ফাংগাল ইনফেকশন হলে। এর মধ্যে অ্যান্টি ফাংগাল ও অ্যান্টি সেপটিক উপাদান থাকে। সরাসরি একটি তুলো টি-ট্রি অয়েলে ভিজিয়ে নখে লাগিয়ে নিন।

অরিগ্যানো অয়েল

অরিগ্যানো অয়েলের মধ্যে থাইমল থাকে যার মধ্যে অ্যান্টিফাংগাল উপাদান থাকে। একই পদ্ধতিতে তুলো ব্যবহার করে নখে লাহান এই তেল। তবে এর থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে দেখে নিন।

অলিভ পাতার নির্যাস

এই পাতা অ্যান্টিফাংগাল উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়া এই পাতার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে। এই পাতার নির্যাস ফাংগাল ইনফেকশন হওয়া নখে লাগালে উপকার পাবেন।

মাউথ ওয়াশ

মাউথ ওয়াশে মেন্থল, থাইমল ও ইউক্যালিপ্টাসের মতো উপাদান থাকে যাতে আছে ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস-রোধী উপাদান। একটা বাটিতে মাউথ ওয়াশ নিয়ে তাতে আক্রান্ত আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।

চিনি লেবুর রসের স্ক্রাব

পায়ের নখ কালচে দাগ দূর করতে স্ক্রাবিং খুবই জরুরি। এটি মরা কোষ দূর করে পা নরম ও মসৃণ করে। হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখুন। এবার লেবু কেটে এর ওপর চিনি ছড়িয়ে পাঁচ মিনিট পায়ে ঘষুন। পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এর পর ভালো করে পা শুকিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

(ঢাকাটাইমস/১৩ মার্চ/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :