সংকটময় পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে
শ্রীলঙ্কার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সংকট মোকাবেলায় এবার নিজেই অতি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একইসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রনিল বিক্রমাসিংহে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রনিল এখন আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বেইলআউট নিয়ে আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
প্রেসিডেন্ট দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, আজ সকালে (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থ, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নীতিমন্ত্রী হিসেবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে শপথ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহে জানান, আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী একটি বাজেট পেশ করা হবে আর তাতে সরকারি ব্যয় যতটা সম্ভব কাটছাঁট করা হবে।
তবে শ্রীলঙ্কা একটি পরিমিত অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো প্রণয়ন না করা পর্যন্ত নতুন করে অর্থায়ন করার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। আইএমএফের সঙ্গে দেশটির প্রাথমিক আলোচনাও মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে আইএমএফের থেকে টেকসই ঋণ প্যাকেজ আশা করার কথাও জানিয়েছেন বিক্রমাসিংহে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে জানিয়েছিলেন, তারা শ্রীলঙ্কার বিষয়ে প্রায়োগিক পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
এদিকে সার্বভৌম বন্ডের দুটি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বের অন্যতম বড় দুটি ক্রেডিট রেটিং সংস্থা দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণ খেলাপি বলে ঘোষণা করেছে।
১২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ নিয়ে ফের আলোচনার মতো ঝুঁকি নিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লিজার্ড ও আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্লিফোর্ড চ্যান্সকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসএটি)