গায়ে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
হেনোলাক্স আমিন ও স্ত্রী ফাতেমা গ্রেপ্তার
জাতীয় প্রেসক্লাবে গায়ে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন হেনোলাক্স গ্রুপের এমডি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী একই গ্রুপের পরিচালক ডা. ফাতেমা আমিন।
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন—র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমানের বড় ভাই গাজী নজরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। মামলায় তার ভাই গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্টে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গাজী আনিস। পরে মঙ্গলবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
হেনোলাক্স গ্রুপ থেকে টাকা ফেরত না পাওয়ার বিষয়ে গত ৩১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে গাজী আনিস সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা নেয় হেনোলাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. ফাতেমা আমিন।
গাজী আনিস বলেছিলেন, ২০১৬ সালে পরিচয়ের পর একপর্যায়ে হেনোলাক্স গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসায়িক পার্টনারশিপের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজী আনিস ব্যবসায় এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে লভ্যাংশসহ তিন কোটি টাকা তাকে দেওয়ার কথা। কয়েক দফায় লাভের অংশ থেকে ৭৪ লাখ টাকা দিলেও অবশিষ্ট ২ কোটি ২৬ লাখ (লাভসহ) টাকা ফেরত দেয়নি। এ নিয়ে তিনি কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলাও করেছেন।
গাজী আনিসের বড় ভাই গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই হেনালোক্স গ্রুপের কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবে। ব্যবসায়িক অংশিদার করার লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরে হেনোলাক্স গ্রুপ সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।’
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এএইচ/কেএম/ডিএম)