ঘুড়ি: দুরন্ত শৈশবের রঙিন স্মৃতি

রেজাউল মাসুদ
  প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২৪, ০৮:১৭
অ- অ+

ঘুড়ি উড়োনো ছিল আমার কাছে নেশার মতো। যারা শৈশবে ঘুড়ি উড়িয়েছে তাদের কাছে ভালোবাসার আরেক নাম ঘুড়ি। সেই সাঁজ সকালে কিছু একটা মুখে দিয়ে ঘুড়ি নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার দিনগুলোতে খাবারের কথা মনেই পড়তো না। পলিথিন কিংবা কাগজের সঙ্গে নারকেলের সলা দিয়ে বানানো হতো সেসব ঘুড়ি। বোতল আর লাটিম দিয়ে নাটাই বানিয়ে মায়ের কাঁথা সেলাই করার গুটি সুতা চুরি করে ঘুড়ি উড়ানোর দিনগুলো সত্যিই স্বপ্নের মতো। দুপুরে মায়ের গালমন্দে গাছের সাথে ঘুড়ি বেঁধে রেখে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে ভোঁ দৌড়। রোদে পোড়ানো মলিন চেহারায় বাবার অনাদর শাসন এখন শুধুই স্মৃতি।

আমি এখন গ্রামে রয়েছি! তাই সবকিছু কে ছাপিয়ে এখন আমার মনের আবেগ জুড়ে শুধু শৈশবের স্মৃতি। যতই দিন যাচ্ছে গ্রামগুলো শহর হয়ে উঠছে। চারদিকে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। একটা বিশাল আকাশ, সাদা রঙের মেঘেদের খেলা। কিছুক্ষণ পরেই আবার হয়ত মেঘমুক্ত নীল আকাশ, নয়তো আবার কখনোও কালো মেঘে ঢাকা। ঋতুচক্রে সময় এখন গ্রীস্মের। মৃদু মন্দ বাতাসে যেন রঙিন প্রজাপতির মেলা। প্রকৃতিও যেন শহুরে ব্যস্তময়!

কাল্পনিক চিন্তা হলেও আকাশে ঘুরে বেড়ানো রঙিন ‘ঘুড্ডি’ গুলোকে দেখলে প্রজাপতিই মনে হয় আমার। আর এসবের ভিড়ে মনে পড়ে শুধু শৈশবের কথা। ইলেকট্রিসিটি বিহীন কাদা মাটির পথে গ্রামের কোমল স্নিগ্ধতায় যারা বড় হয়েছেন, দুরন্তপনা যাদের জীবন তারা জানেন ঘুড়ির স্মৃতি কতটা মধুর।

লেখক: পুলিশ কর্মকর্তা

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হজমের সমস্যা
সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
মে দিবস ২০২৫-এ বয়ে আনুক কর্মজীবীদের আশার আলো
৩২ বছর পর ৩১ জুলাই হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা