মেট্রোরেলে প্রতিদিন কত টাকার বিদ্যুৎ লাগবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪২
অ- অ+

মেট্রোরেল সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা রেখেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর লোডশেডিংয়ে যেন মেট্রোরেল চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য জাতীয় গ্রিডের সব বিকল্পের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার। এছাড়া বিদ্যুৎ লাইন সংযোরগর পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পূর্ণ ব্যাটারির ব্যাকআপ রাখা হয়েছে।

প্রকল্প শেষ হলে উত্তরা টু মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী ২১ কিলোমিটার পথ চলবে। এই পথ চলতে মোট বিদ্যুৎ খরচ হবে ৮০০ থেকে ১২০০ কিলোওয়াট। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে খরচ হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) এর একজন ব্যবস্থাপক জানান, আপতত অল্প সময়ের জন্য চললেও প্রকল্প শেষ হলে উভয় দিকে সাড়ে তিন মিনিট পরপর ২৪ সেট ট্রেন চলবে। এসব বৈদ্যুতিক ট্রেনে প্রতিদিন খরচ হবে ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেই হিসেবে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য মোট খরচ হবে ৭০ হাজার টাকা।

প্রথমধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও এটি সম্প্রসারণ হয়ে যাবে কমলাপুর পর্যন্ত। জাতীয় গ্রিড থেকে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ নেবে ডিএমটিসিএল। এজন্য তিনটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দেখার দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক শেখ খলিলুর রহমান জানান, ছয় কোচের এক সেট ট্রেন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সক্ষমতা অনুযায়ী প্রায় বিদ্যুৎ খরচ হবে ৮০০ থেকে ১২০০ কিলোওয়া। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের কর ও ভ্যাটসহ মোট খরচ হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

মেট্রোরেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে উত্তরা ও মতিঝিলে দুটি উপকেন্দ্র ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। উভয় কেন্দ্র থেকে মোট ১৩২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে মতিঝিল উপকেন্দ্রে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে এবং উত্তরা উপকেন্দ্র পিজিসিবির টঙ্গী গ্রিড উপকেন্দ্র ও ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উত্তরা গ্রিড উপকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

তৃতীয় উপকেন্দ্রটি মিরপুর শেওড়াপাড়ায় স্থাপন করা হয়েছে। স্টেশন সংলগ্ন এ কেন্দ্রটি থেকে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বঙ্গভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থাপিত বিশেষ এ উপকেন্দ্র থেকে এ সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান ব্যবস্থাপক শেখ খলিল।

মেট্রোরেল চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য জাতীয় গ্রিডের সব বিকল্পের সঙ্গে সংযোগ থাকবে এর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপক শেখ খলিলুর রহমান। এছাড়াও থাকবে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ ছাড়াও থাকবে ব্যাটারির ব্যাকআপ।

এ ব্যাপারে ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, প্রকল্পের সমীক্ষার সময়ই গ্রিড বন্ধের মত বিপর্যয়ের বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এলএম/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২০ ডলার, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
স্বৈরাচারের আঁচলে আশ্রয় নেওয়াদের রক্ষাকবচের দায়িত্বে অন্তর্বর্তী সরকার: ১২ দলীয় জোট
'মিথ্যুক হিযবুতী এজাজের মশা মারতে কামান প্রকল্প ব‍্যর্থ'
পার্বত্য চট্টগ্রামে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের সফর ও 'সুখী' স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা