বাজারের খাস জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণে জেল-জরিমানা, সংসদে বিল পাস
‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩’ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এই বিলে হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল বা কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
পাকিস্তান আমলের ১৯৫৯ সালের হাটস অ্যান্ড বাজারস (এস্টাবলিস্টমেন্ট অ্যান্ড একুইজেশন) অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন করে এই আইনটি করা হচ্ছে।
এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তবে প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তুাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।
গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া আইনে অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে তিনি অর্থদণ্ড আরোপ করতে পারবেন। আর বিলের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি হাট ও বাজারের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রাখলে বা খাস জমির ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে, অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাট ও বাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে ১৯৫৯ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলায় নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং স্টেক হোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে।
তবে কোনো ধর্মীয় বা অন্য কোনো বিশেষ উৎসব উপলক্ষে কোনো এলাকার প্রতিষ্ঠিত হাট ও বাজার ছাড়া অন্য কোনো স্থানে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসকের পূর্বানুমোদন নিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি না করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী হাট ও বাজার স্থাপন করা যাবে বলেও বিলে বলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/ইএস)