মোস্তাফিজ জাদুতে অবিশ্বাস্য জয়, সিরিজ টাইগারদের
শেষ ৫৪ বলে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ৫১ রান। তখনও হাতে ছিল ৭ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট নেয়ার মাধ্যমে চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন শান্ত। এরপর নিজের করা টানা তিন ওভারে তিন আইরিশ ব্যাটারকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ভেঙ্গে পড়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। আর শেষ ওভারে দুর্দান্ত হাসান মাহমুদ। তাতেই ৫ রানের জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নেয় টাইগাররা।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলে যান ওপেনার পল স্টার্লিং ও দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন। ৭৮ বলে ৫৩ রানে বালবির্নি ও ৭৩ বলে ৬০ রানে স্টার্লিং আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে টাকার-টেক্টরের ৭৯ রানের জুটিতে জয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু ৪৫ রানে হ্যারি টেক্টর আউট হলে বিপদে পড়ে আয়ারল্যান্ড। মোস্তাফিজ যেন একের পর এক আগুনের গোলা ছুড়তে থাকেন। নিজের শেষ তিন ওভারে ফেরান ক্যাম্ফের, ডকরেল ও টাকারকে। আর শেষ ওভারে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেন হাসান মাহমুদ। ফলে ২৭০ রানে থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মোস্তফিজুর রহমান। দুটি উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আইরিশ দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ৩২ বলে ৩৫ রানে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আইরিশ বোলারদের শাসন করে যান ওপেনার ও দলনেতা তামিম ইকবাল। এ সময় দুজন মিলে তোলেন ৭০ রান। ৩৫ রানে আউট হন লিটন। আর আগের ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় আউট হন মাত্র ১৩ রানে।
তামিম খেলে যাচ্ছেন আপনতালেই। দীর্ঘ ৯ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টাইগার দলনেতা ও ওপেনার তামিম। আউট হন ৬৯ রানে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দুর্দান্ত খেলে যান মুশফিকুর রহিম। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। তাতেই লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় টাইগাররা। তবে সুযোগ ছিল দলীয় ইনিংসকে তিনশোর বেশি নেওয়া সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪৫ রানে মুশফিক ও ৩৭ রানে মিরাজ ফিরলে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে মৃত্যুঞ্জয় ৮, হাসান ১ ও মোস্তাফিজ শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন ইবাদত।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন মার্ক আডায়ের। দুটি করে উইকেট নেন জর্জ ডর্করেল ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। আর একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন ক্রেইগ ইয়াং।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/এমএম)