হঠাৎ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত? করণীয় ও সতর্কতা সম্পর্কে জানুন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১৩:০৫

সর্দি-কাশি ও ফ্লু-এর সমস্যা সারাবছর জুড়েই হলেও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে শীত, বসন্ত ও বর্ষাকালে সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। এসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু উপদেশ মেনে চললে ঘরে বসেই নিজের যত্ন নেয়া যায়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমানো যায়।

ফ্লু সর্দি-কাশি বা ঠান্ডার লক্ষণ

ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ প্রায় একই রকম। তবে সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় ফ্লু-এর লক্ষণগুলোর তীব্রতা বেশি হতে পারে এবং সেরে উঠতেও বেশি সময় লাগতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো লক্ষণগুলো বড়দের তুলনায় বেশিদিন ধরে থাকতে পারে।

ফ্লু সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা

কারণ ও লক্ষণে পার্থক্য থাকলেও ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা প্রায় কাছাকাছি। এর ঘরোয়া চিকিৎসা হলো- বিশ্রামে থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। শরীর উষ্ণ রাখুন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পাশাপাশি অন্যান্য তরল খাবার যেমন- ফলের জুস, চিড়া পানি, ডাবের পানি, স্যুপ, ইত্যাদি খেতে পারেন।

পানিশূন্যতা এড়াতে এমন পরিমাণে তরল খাওয়া উচিত যেন প্রস্রাবের রং স্বচ্ছ অথবা হালকা হলুদ হয়। গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। তবে ছোট শিশুরা ঠিকমতো গড়গড়া করতে পারে না বলে তাদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়।

কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। এছাড়া খুসখুসে বা অস্বস্তিকর কাশিতে কিছুক্ষণ পর মুখে দুই-তিনটা লবঙ্গ দিয়ে চিবোলে ওষুধের চেয়ে ভালো ফল পাবেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ফ্লু সর্দি-কাশির ঔষধ

সাধারণ সর্দি-কাশি সাধারণত কোনো ঔষধ ছাড়াই ৭–১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। ফ্লু-ও সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়। তবে লক্ষণ উপশমে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন—

প্যারাসিটামল: জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে প্যারাসিটামল সেবন চলাকালে অন্য কোনো ব্যথার ঔষধ, কফ সিরাপ অথবা সর্দি-কাশির হারবাল ঔষধ সেবনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এসবের অনেকগুলোতে প্যারাসিটামল থাকে। ফলে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন করার ঝুঁকি থাকে।

নাক বন্ধের ড্রপ: এগুলোকে ‘ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট’ বলা হয়। নাক বন্ধ উপশমে এসব ড্রপ ব্যবহার করা যায়। তবে টানা এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না, তাতে নাক বন্ধের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এক সপ্তাহেও উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কফ সিরাপ: কাশি বেশি হলে সর্দি-কাশির ঔষধ বা কফ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই ওষুধ খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টার মধ্যে কিন্তু পানি পান করা যাবে না। তাহলে কাশির ওষুধ কাজ করবে না।

অ্যান্টিহিস্টামিন: নাক থেকে পানি পড়া এবং হাঁচি কমানোর জন্য চিকিৎসকরা এই ধরনের ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। এগুলো কারও কারও কাছে ‘অ্যালার্জির ঔষধ’ হিসেবেও পরিচিত।

অ্যান্টিভাইরাল: সাধারণত ফ্লু-এর চিকিৎসায় বিশেষ কোনো ঔষধের দরকার হয় না। তবে যাদের ফ্লু-এর তীব্র লক্ষণ দেখা দেয় এবং জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ সেবন করতে পারেন৷

ভুলেও কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক নয়

সর্দি-কাশি ও ফ্লু-এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়। কারণ সর্দি-কাশি ও ফ্লু ভাইরাস বাহিত রোগ। আর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়। তাই অযথা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে অন্যান্য জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

বিএমডিসি ছাড়া ‘ভুল চিকিৎসা’ বলার অধিকার কারো নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

নারী মাদকসেবীদের চিকিৎসায় দশ বছরে আহ্ছানিয়া মিশন

সুস্থ আছেন জোড়া মাথা আলাদা করা দুই শিশু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, ঢাকা কতটা ঝুঁকিতে?

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস: জানুন মশাবাহিত এ রোগ প্রতিরোধের উপায়

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :