৩০০ আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ
নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে অনুসন্ধান কমিটিকে ইসির নির্দেশ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ৩০০টি আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটিগুলোর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র-৫ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৩ নভেম্বর এই পরিপত্র জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার জন্য একজন যুগ্ম জেলা জজ বা সিনিয়র সহকারী জজের সমন্বয়ে সারাদেশে ৩০০টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। গঠিত কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রাপ্ত তথ্য বা কমিটির কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ বা ঘটনাসমূহ অনুসন্ধান করতে পারবে। ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন/রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার/নির্বাচনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কোনো অভিযোগ পেলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পাঠাবেন। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটি কোনো ব্যক্তিকে তার সামনে হাজির হতে ও সাক্ষ্য প্রদানে এবং প্রয়োজনীয় দলিল বা বস্তু দাখিল করতে দেওয়ানি আদালতের মতো ক্ষমতাবান হবেন। কমিটির কার্যক্রম প্যানেল কোড-এর ১৯৩ ও ২২৮ ধারায় বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে।
কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনপূর্ব কোনো অনিয়ম সংঘটিত হলে তার অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
এছাড়া অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন। এছাড়া নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটিগুলোর কর্মকর্তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালন সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বা ব্রিফিং দেওয়া হবে এবং দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত আইন ও বিধি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের বিষয় নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এর আগে নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে। পরে নিয়মানুযায়ী তা সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পর যায় আইন মন্ত্রণালয়ে।
(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/এসএম/ইএস)