একাদশের চেয়ে অংশগ্রহণ বেশি হলেও দ্বাদশ সংসদে কমেছে নারীর সংখ্যা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতবারের তুলনায় বেশি সংখ্যক নারীকে মনোনয়ন দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। এমনকি দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণও ছিলো সর্বোচ্চ। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতবারের তুলনায় কমেছে নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা।
এমনকি এবারের তুলনায় মনোনয়ন কম পেয়েও গতবার দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক নারী বিজয়ী হয়েছিলেন। গতবার ৬৯ নারী প্রার্থী সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২২ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র থেকে ৯২ জন নারী প্রার্থী অংশ নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হন ১৯ জন। এবার জয়ী নারী প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের রয়েছেন ১৫ জন এবং স্বতন্ত্র থেকে রয়েছেন চারজন। যদিও স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ীরাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিজয়ী নারী প্রার্থীরা
আওয়ামী লীগের জয়ী নারী প্রার্থীরা হলেন— বর্তমান সংসদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), উম্মে কুলসুম স্মৃতি (গাইবান্ধা-৩), সাহাদারা মান্নান (বগুড়া-১), জান্নাত আরা হেনরী (সিরাজগঞ্জ-২), হাবিবুন নাহার (বাগেরহাট-৩), সুলতানা নাদিরা (বরগুনা-২), আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডরীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), সৈয়দা জাকিয়া নূর (কিশোরগঞ্জ-১), সাগুফতা ইয়াসমিন (মুন্সীগঞ্জ-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), খাদিজাতুল আনোয়ার (চট্টগ্রাম-২) ও শাহীন আক্তার (কক্সবাজার-২)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জয়ী হয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের (প্রস্তাবিত) সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (গাইবান্ধা-১), বর্তমান সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম (মাদারীপুর-৩), প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী জয়া সেন গুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২) ও আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (হবিগঞ্জ-১)।
এছাড়া নিলুফার আনজুমের ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের একটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে ফল স্থগিত রয়েছে। যদিও এই কেন্দ্রের ভোট বাদে তিনি এগিয়ে আছেন। প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া নিলুফার আনজুম ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর স্বামী প্রয়াত মাহবুবুল হক (শাকিল) প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলেন।
প্রার্থিতা বাতিল
এদিকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ ও নিলুফার আনজুম। কিন্তু পরে দ্বৈত নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন অভিযোগে শাম্মী আহমদেসহ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল ও প্রত্যাহার করা হয়। শাম্মী আহমেদের বাবা প্রয়াত মহিউদ্দীন আহম্মেদ। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য।
(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/টিএ/ইএস)

মন্তব্য করুন