যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘ওইগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি নিয়ে ‘কোনো চিন্তা নেই’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণ রায় দিয়েছে এটাই বড় কথা। ওইগুলো (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি) নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই। অন্যান্য দেশের যারা (সরকারের আমন্ত্রিত) এসেছেন সবাই বলেছে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’
টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকারের বিজয় দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
ড. মোমেন আরও বলেন, 'জনগণের ভোটাধিকার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'
এই আয়োজনে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের সারাহ কুক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।
এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ কেন চাচ্ছেন না জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘ইইউর পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিবৃতি দেয়া হবে। আমরা একা নই, ২৭টি দেশের সঙ্গে আমাদের জোট। আপনাদের ধৈর্য্য রাখার জন্য ধন্যবাদ।’
জার্মানির রাষ্ট্রদূত আসিম ত্রোস্টার বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার। এদেশের জনগণকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীতেও এই সম্পর্ককে কীভাবে আরও এগিয়ে নেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচিত হয়েছে। সরকারের সঙ্গে অংশিদারত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিরোধী দলের ওপর হয়রানির নিন্দাও জানিয়েছেন তারা। এছাড়া সদ্য নির্বাচিত সরকারকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার তাগিদ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক।
আরও পড়ুন>বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি
এমন বাস্তবতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯জানুয়ারি/এসআরপি/ইএস)