কুয়াকাটা উপকূলে মরিচ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

আব্দুল কাইয়ুম, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
 | প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৭

মৌসুমি ফসল মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলের কৃষকরা। জমি তৈরি এবং চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ চাষিরা। ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষসহ বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি মরিচ চাষে ব্যাপক আগ্রহী হচ্ছে তারা।

মরিচের বীজ বপনের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫/২০ মণ মরিচ উৎপাদন হয়। প্রতিমণ কাঁচা মরিচ হাটে-বাজারে ২৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভবান হবেন। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা আরো জানান, তবে অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে অনেক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচের চাষ করেছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা আয় হয়েছে। তাই এবারও তিনি ১.৫ একর জায়গায় মরিচের চাষ করবেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফলন পাবেন বলে আশাবাদী। কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ চাষে ভালো লাভ হয়। এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কে আর এম সাইফুল্লাহ জানান, এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে প্রত্যক্ষ করছে। আরো সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভালো দাম পাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।

(ঢাকা টাইমস/৩০জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :