ফের মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশে, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও আরাকান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফে হোয়াইক্যং সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়েছে কয়েকটি গুলি। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে মর্টারের ভারী গোলাবর্ষণ চলার মধ্যেই হোয়াইক্যং সীমান্তের উত্তরপাড়ায় এসব গুলি এসে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু। তিনি বলেন, সকালে আমি হাঁটতে বের হয়েছি, এমন সময় গুলি এসে পড়লো আমার পাশে। মনে হয়েছে গুলি যেন আমার মাথায় পড়ছে। এভাবে অনেকক্ষণ গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। সীমান্তের বাসিন্দারা খুবই আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সারাদিন সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও শনিবার ভোররাত থেকে টেকনাফ সীমান্তের ওপারে শুরু হয় প্রচুর গোলাগুলি। ভোররাত থেকে অনবরত গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকার সীমান্তের বাসিন্দারা।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রুর পশ্চিম কূল এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক মাস ধরেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন জোরদার করেছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থিদের জোট ব্রাদার হুড অ্যালায়েন্স। একের পর এক প্রদেশ ও শহর দখল নিচ্ছে তারা। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেক অঞ্চলও দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
প্রতিবেশী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়া এ সংঘাতের আঁচ পড়েছে বাংলাদেশেও। জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গোলা এসে পড়ছে দেশের ভেতরে। যাতে ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে দুজনের। ঘরছাড়া হয়েছে অসংখ্য পরিবার। অন্যদিকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সশস্ত্র সেনা সদস্যসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/জেডএম/ইএস)

মন্তব্য করুন