ইসরায়েল-হামাসকে দ্রুত যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরুর আহ্বান
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা দ্রুত শুরুর আহ্বান জানিয়েছে মধ্যস্ততাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর।
বৃহস্পতিবার এই তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘চুক্তি বাস্তবায়নে অবশিষ্ট সকল ব্যবধান দূর করতে যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে ১৫ আগস্ট আবার আলোচনা শুরু করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
কাতারের আমির, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর দেরি করার মতো কোনো সময় নেই, কোনো পক্ষের কাছে কোনো অজুহাতও নেই। এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে বন্দিবিনিময় করা প্রয়োজন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠতে আগামী সপ্তাহে হয় দোহা বা কায়রোয় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন নারী এবং ১৬৯টি শিশু রয়েছে। বিনিময়ে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। হামাসের কাছে এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
এরপর থেকে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও কোন পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ১০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/এমআর)