ব্রাজিলে বিমান দুর্ঘটনা: উঠতে দেওয়া হয়নি ফ্লাইটে, অতঃপর...

ব্রাজিলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫৭ যাত্রী এবং ৪ ক্রুসহ ৬১ আরোহী নিহত হয়েছেন। কিন্তু এই বিমান দুর্ঘটনা থেকে সৌভাগ্যবশত প্রাণে বেঁচে গেছেন রিও ডি জেনেরিওর বাসিন্দা আদ্রিয়ানো আসসি। তার এই প্রাণে বেঁচে যাওয়ার কারণটা অবশ্য বেশ অদ্ভুত। দেরি করে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য এই বিমানে উঠতে পারেননি তিনি। ফলে প্রাণে বেঁচে যান।
জানা গেছে, চেকিং টাইমের পরে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য আদ্রিয়ানোকে আর বিমানে উঠতে দেননি নিরাপত্তাকর্মীরা। ফলে তার সামনে দিয়েই যাত্রী নিয়ে উড়ে যায় বিমানটি। কিন্তু যখন তিনি জানতে পারেন ওই বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে এবং সবাই মারা গেছেন, তখন তিনি বিমানবন্দরে উপস্থিত কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। কারণ তাকে এক প্রকার জোর করেই আটকে দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ব্রাজিলের সাও পাওলোর ভিনহেদো এলাকায় ভেঙে পড়েছে একটি বিমান। এই ব্যক্তিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। যে এয়ারপোর্ট কর্মচারীর সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে তিনি ঝগড়া করছিলেন। কিছুক্ষণ বাদেই তিনি তাকে জড়িয়ে ধরেন তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য।’
ভিডিওতে আদ্রিয়ানো আসসি বলেন, ‘আমি এখানে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে এসে পৌঁছাই, কিন্তু ততক্ষণে গেট বন্ধ হয়ে যায়। বিমানটি আমার সামনে দিয়েই উড়ে যায়।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি টোলেডো রিজিওনাল হাসপাতালে কাজ করি। বিমান না ধরতে পেরে হতাশ হয়ে আমি বিমানবন্দরের ওপরের তলায় অপেক্ষা করছিলাম। সাড়ে দশটার কিছু পরে যখন নিচে নেমে আসি তখন দেখি মানুষের লম্বা লাইন। ততক্ষণে দুর্ঘটনার খবর সামনে চলে এসেছে। এরপরেই আমি ওই ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরি যিনি আমাকে ঢুকতে দেননি। না হলে আমি এখানে দাঁড়িয়ে ইন্টারভিউ দিতে পারতাম না।’
প্রসঙ্গত, শনিবার কাসকাভেল থেকে উড়াল দিয়ে সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। ভয়েপাস এয়ারলাইনের বিমানটি সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিমি উত্তরে ভিনহেদো শহরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটিতে থাকা ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
সূত্র: এনডিটিভি
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এমআর)

মন্তব্য করুন