শ্রীপুরে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৭
অ- অ+

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি, চাঁদাবাজি এবং ওয়ার্ক অর্ডারের মাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মন্ডলসহ আট জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ( মার্চ) সকালের দিকে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর থানায় ওই লিখিত অভিযোগ করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ওমর ফারুক। তিনি ভাংনাহাটি গ্রামের হানিফের ছেলে। তিনি বিধি অনুসারে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে ওই গ্রামের সওফ ট্যেক্স লিমিটেড নামে গার্মেন্টস কারখানার জুট ব্যবসা করেন।

অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন, পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের আউয়াল মন্ডল, গফুর মন্ডল, ইকবাল প্রধান, সাহিদুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, পৌরসভার উজিলাব গ্রামের মাসুদ রানা, মনির ফকিরসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে কারখানার জুট ব্যবসায় চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা এবং কারখানার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে কারখানা থেকে ৩টি কাভার ভ্যানে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের নিট গার্মেন্টস পণ্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে প্রধান ফটকের সামনে বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন মন্ডলের নেতৃত্বে পথরোধ করেন। এরপর জুটভর্তি গাড়ির চালককে হুমকি দিয়ে আটকে রাখে। ফোন দিয়ে ওমর ফারুকের নিকট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়িগুলো আটকে রাখা হয়। পরে গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযোগকারী ওমর ফারুক বলেন, 'আওয়ামী লীগ আমলে আমার নামে তিনটি রাজনৈতিক মামলা হলে আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এখন বিএনপির একটি পক্ষ আমার নামে হাসিনার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। আমার নামে বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও অন্যায়ভাবে মাল ছিনিয়ে নিয়েছে। ঘটনার বিচার চাই।'

বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আফাজ উদ্দিন মন্ডলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার . চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, ‘কারখানায় চাঁদাবাজির বিষয়ে ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'

(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিপুল সমাগমে নয়াপল্টনে চলছে শ্রমিকদলের সমাবেশ
পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে: সলিমুল্লাহ খান
রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ 
শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা