বাদ জোহর দুজনেরই দাফন করা হবে বিএএফ শাহীন কবরস্থানে
দেশে পৌঁছেছে ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান ও বিজিএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবের মরদেহ

কানাডার অন্টারিওর একটি হ্রদে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত দুই বন্ধু বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু ও বিজিএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল রাকিবের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত ৯টায় তাদের মরদেহ বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শনিবার বাদ জোহর দুইজনকেই বিমান বাহিনীর বিএএফ শাহীন কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
এদিন বিজিএমইএ’র সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামানের মরদেহ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হন তাদের সহকর্মী ও আত্মীয় স্বজনেরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রথমে রাকিবের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও তার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্সে সাইফুজ্জামানের মরদেহ বের হয়। পরবর্তীতে রাকিবের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি তার বনানীর বাড়ি এবং সাইফুজ্জামানকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে রাকিবের প্রথম জানাজা ও বাদ যোহর ডিওএইচএস মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বিমান বাহিনীর বিএএফ শাহীন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
একইদিন সকাল ১১টার বিএএফ শাহীন কলেজের উত্তর পাশের মসজিদে ও বাদ জোহর বনানী ডিওএইচএসের মাঠে সাইফুজ্জামানের দ্বিতীয় জানা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় একই কবরস্থানে তাকেও দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামান ও
আব্দুল্লাহ হিল রাকিবের মৃত্যুতে তাদের আকস্মিক প্রয়াণে সহকর্মী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী মহলে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। আজ মরদেহ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই থেকে বিমানবন্দরের সামনে অবস্থান নেন তাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তারা বুকে কালো ব্যাচ পড়েন এদিন।
রাকিবের মৃত্যুতে বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ও নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু তার মৃত্যুতে শোকবার্তা দেন। শোকবার্তায় তারা বলেন, ‘তার শূন্যতা তৈরি পোশাক শিল্পে গভীরভাবে অনুভূত হবে।’
এছাড়া বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। শোকবার্তায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭–এর ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামানের পেশাগত দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও অঙ্গীকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য গর্বের বিষয়। তার অকালপ্রয়াণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার (৮ জুন) অন্টারিওর প্রদেশের লিনজি শহরের একটি কটেজ সংলগ্ন হ্রদে ক্যানোয়িং করতে গিয়ে প্রাণ হারান তারা।
জানা গেছে, টরন্টো থেকে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার দূরে কাওয়ার্থা লেক এলাকায় দুপুর তিনটার দিকে সাইফুজ্জামান তার বন্ধু আব্দুল্লাহিল রাকিব ও তার ছেলেসহ একটি ক্যানো নিয়ে হ্রদে নামেন। হঠাৎ বাতাসে ক্যানো উল্টে গেলে রাকিবের ছেলে সাঁতরে তীরে ফিরতে সক্ষম হলেও দুই বন্ধু পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় অন্টারিও পুলিশের মেরিন টিম, পুলিশের ফায়ার টিম এবং এভিয়েশন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এলএম)

মন্তব্য করুন