আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করতে হবে: মির্জা ফখরুল

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বীভৎস দমন নীতির কারণে অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে এবং হাজার হাজার ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ববরণ করেছে। বিগত নিষ্ঠুর ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের উৎপীড়নের বিকট রূপ দেখে সারাবিশ্ব হতভম্ব হয়েছে। এছাড়াও ১৬ বছর ধরে তাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে গুম, কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যুর শিকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের নিকট কোনো জবাবদিহিতা ছিল না, সকল প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে একদলীয় দুঃশাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের বুকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকে হুমকি, ভয় ও নির্যাতন চালিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নির্মমভাবে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। আর বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে বেপরোয়া জুলুম-নির্যাতন। সারাদেশের মানুষ যেন ভয়াবহ নৈরাজ্যের অন্ধকারে বাস করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মুছে ফেলেছিল। ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অসত্য বানোয়াট মামলায় আক্রোশমূলকভাবে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়। কারাবন্দি অসুস্থ দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসা না দিয়ে তার জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এ ধরনের দৃষ্টান্ত সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমি নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবসে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের প্রতিকার প্রাপ্তি এবং ন্যায্য ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের একটি ন্যায়সংগত অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। আমি গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনগণকে যুগোবদ্ধভাবে সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করতে হবে।
(ঢাকা টাইমস/২৫জুন/জেবি/এসএ)

মন্তব্য করুন