চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন— আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) ও জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদেরকে পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল জানান, উভয় মামলার সাক্ষী পর্যালোচনা করে আদালত দুজনকেই পৃথক পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। আদালত মনে করেন, এই রায় যথার্থ হয়েছে। এই রায়ের পর সমাজের অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামি নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এছাড়া ২০১৫ সালের ৮ জুন আসিম আব্দুল খালেক তার ভায়রাভাইয়ের ৬ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
(ঢাকা টাইমস/২৫জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন