বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি: গেজেট প্রকাশে সময় পেল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৩১

মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুসারে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই সময় দেন।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল আপিল বিভাগ। ওইদিন আপিল বিভাগ বলেছিলেন, এটাই শেষ সময়। আর কোনো সময় দেয়া হবে না। ওই দিন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে সে বিষয়ে একটি এফিডেভিট দাখিল করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাতে বলা হয়, চাকরির শৃঙ্খলা বিধির খসড়া রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কবে পাঠানো হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে তা দিনক্ষণ উল্লেখ না থাকায় আপিল বিভাগ বলেছে, আপনাদের এই আবেদন অস্পষ্ট। এরপর ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।

গত ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নয় বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত ৩১ অক্টোবর এক বাণীতে বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে বরে উল্লেখ করেছেন। বাণীতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলা হয়েছে। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদে যে বিধান দেওয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মত বিচারক নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এমএবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেল: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

৩০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি: সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট 

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোয় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

তিন মাসের ব্যবধানে আরেক মামলায় খালাস পেলেন গোল্ডেন মনির

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যামামলা: আপিল শুনানি দ্রুত করতে আসামির আবেদন

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :