শরীয়তপুরে দুই বীরাঙ্গনাকে সংবর্ধনা
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে হলেও শরীয়তপুরের চিহ্নিত রাজাকার ইদ্রিস আলী সরদারের ফাঁসির রায় হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি দুই বীরাঙ্গনাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছেন শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধারা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গণহত্যার ঘটনাস্থল মধ্যপাড়া স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীরাঙ্গনা যোগমায়া মালো নিজে উপস্থিত হন। অপর বীরাঙ্গনা বিজয়া মালো অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় থাকায় তার পক্ষে পুত্রবধূ রেনু বালা মালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা প্রদান শেষে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাওয়ার শপথ ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত বীরাঙ্গনা যোগমায়া মালো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের উপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে। ৪৫ বছর পরে হলেও তার বিচার হওয়ায় আমরা খুশি। মুক্তিযোদ্ধারা এই দীর্ঘ সময় আমাদের পাশে থেকেছেন, সাহস যুগিয়েছেন এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের আজকে যে সম্মান দেয়া হলো তাতে নিজেদের স্বাধীন দেশের একজন গর্বিত নাগরিক মনে হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মধ্যপাড়া এলাকার বিজয়া মালো, যোগমায়া মালো, রাধিকা মোহন মালো, অলোকা সাহা, সুমিত্রা মালোসহ ৩০/৩৫ জন নারীকে মাদারীপুর এআর হাওলাদার জুট মিলে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে পরবর্তীতে মারা গেছেন। ৪/৫ জন বীরাঙ্গনা বর্তমানে জীবিত রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে সম্মান জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
এ সময় রাজাকার ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, শওকত আলী খান, গিয়াস উদ্দীন খান, আলীম উদ্দীন শেখ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আদেল উদ্দীন, আবুল কাশেম মিয়া, নুরুল ইসলাম দপ্তরী, সামছুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন