মুসার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান চলছে: তদন্ত সংস্থা
বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী ফরিদপুরের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে একাত্তরে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সংস্থার কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা সানাউল হক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সানাউল হক বলেন, ‘মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান চলছে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টিকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিতে গিয়ে আলোচনায় আসেন ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান মুসা বিন শমসের। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হন। এছাড়া ২০০৭ সালে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক কেনার প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশে আলোচনায় আসেন মুসা বিন শমসের।
সুইস ব্যাংকে এই ব্যবসায়ীর সাত বিলিয়ন ডলার আটকা রয়েছে বলে বাণিজ্য সাময়িকী বিজনেস এশিয়ায় একটি প্রবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর মুসা বিন শমসেরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি দুদকে আসেন ৩০ জন নারী দেহরক্ষী নিয়ে।
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, মুসা বিন শমসের প্রিন্স মুসা হিসেবে পরিচিত। তিনি হলেন একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি; যাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জনক হিসেবেও মনে করা হয়ে থাকে। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে আন্তর্জাতিকভাবে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকাটাইমস/২৯ মার্চ/এমএবি/এমআর