কোটালীপাড়ায় প্রস্তুত মুফতি হান্নানের কবর
নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসি আজই কার্যকর হতে পারে। ফাঁসি কার্যকরের পর তাকে দাফন করা হবে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। ইতোমধ্যে তার কবর খুড়ে লাশের অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।
মুফতি হান্নানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন গ্রামে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মুফতি হান্নানের ছোট ভাই মতিয়ার মুন্সী ঢাকাটাইমসকে জানান, তারা ধারণা করছেন আজই ফাঁসি কার্যকর হবে। ফাঁসি কার্যকরের পর মুফতি হান্নানের মরদেহ কোটালীপাড়ার হিরণ গ্রামে নিয়ে আসবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে বুধবার সকালে মুফতি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করেছেন স্বজনরা। সকাল সোয়া সাতটার দিকে মুফতি হান্নানের স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের চার সদস্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে হান্নানের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট সাক্ষাৎ শেষে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে একটি ভ্যানে চড়ে তারা কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে তাদের স্বজনদের কাছে মঙ্গলবার বার্তা পাঠানো হলে আজ সকালে হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমা বেগম, বড় ভাই আলী উজ্জামান মুন্সী, মেয়ে নাজনীন ও নিশি খানম কারাগারে আসেন। কারাগারের ভেতর পৌনে এক ঘণ্টার মতো অবস্থানের পর তারা বেরিয়ে আসেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর হান্নানের ভাই আলীমুজ্জামান বলেন, ‘মুফতি হান্নান তাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং তার দুই মেয়ের দেখভাল করতে বলেছেন।’
এর আগে সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নাকচ করা মুফতি হান্নান ও বিপুলের প্রাণভিক্ষার চিঠি কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে বিপুল ও মুফতি হান্নানকে তা পড়ে শোনানো হয়। আইন অনুযায়ী তাদের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
২০০৪ সালে শাহজালাল (রা.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নান এবং তার দুই সহযোগীর ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে দণ্ড বহাল রাখে। পরে অপরাধের দায় স্বীকার করে মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তা নাকোচ করে দেন। এর ফলে তাদের ফাঁসি কার্যকরে সব বাধা দূর হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী যেকোনো সময় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন