লিবিয়ায় অপহরণ, দেশে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়
প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে সেখানে অপহরণ করে দেশে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে মুজিবর জমাদ্দার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। লিবিয়ার একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দেশে টাকা উদ্ধারে তাকে সহযোগিতা করেছেন স্ত্রী ও মেয়ের জামাতা।
মাদারীপুরের শিবচর থেকে এই চক্রের মূল হোতা মুজিবর জমাদ্দারকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মানি লন্ডারিং মামলায় একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ও মেয়ের জামাতা আবদুল হান্নান।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ‘সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের একটি দল জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ দল লিবিয়াতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের আটক করে মুক্তিপণ আদায় করছে। এ ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জানা যায় মাদারীপুরের শিবচর থানার ব্র্যাক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায় তিনটি সঞ্চয়ী হিসাবে কয়েক লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে জমা দেয়া হয়েছে।’
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় গত চলতি বছরের ২ এপ্রিল ব্র্যাক ব্যাংকে মো. মুজিবর জমাদ্দার (৪৫) ও তার স্ত্রী নুরজাহান (৩৯) নামের নামে দুইটি সঞ্চয়ী হিসাব এবং ন্যাশনাল ব্যাংকে মুজিবর জমাদ্দারের মেয়ের স্বামী আবদুল হান্নানের নামের একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। এই তিনটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলার একদিন পরেই দেশের সিলেট, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লা জেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ টাকা জমা পড়ে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় এই তিনটি সঞ্চয়ী হিসাবে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো জমা পড়ে যা বিভিন্নজন তাদেরকে মুক্তিপণ হিসেবেই জমা দিয়েছিল।
মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, মুজিবর জমাদ্দার লিবিয়াতে অবস্থানকালে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি লিবিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের জিম্মি করে বাংলাদেশে তার স্ত্রী নুরজাহান এবং জামাতা আবদুল হান্নানের সহযোগিতায় ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব এবং বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এনায়েত করিম এবং ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে গত ২০ এপ্রিল মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এএ/জেবি)