সবজি রপ্তানিতে অনিয়ম, দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
মিথ্যা ঘোষণায় ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বহির্ভূত সবজি ও ফল রপ্তানির চেষ্টাকালে দুইটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। উভয় চালানের ক্ষেত্রেই কয়েকটি পণ্যের নাম উল্লেখপূর্বক উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের দেয়া ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট থাকলেও কাস্টমসের পরীক্ষাকালে এসব চালানের মধ্যে অন্য পণ্য পাওয়া যায়। ফলে তা আটক করে মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকাটাইমসকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৬ মে বাহরাইনে রপ্তানিকালে অনুমোদিত এক হাজার কেজি সবজির আড়ালে মানহীন একশ কেজি আলু পাওয়া যায়। অভিযুক্ত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডলফিন ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
অপরদিকে চলতি বছরের ১৯ মে সৌদি আরবে রপ্তানিকালে অনুমোদিত তিন হাজার একশ কেজি সবজি ও ফলের আড়ালে মানহীন ৭০ কেজি লিচু পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করা হয়।
ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত শাক-সবজি ও ফল-মূল পণ্যের গুণগত মান এবং ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বহির্ভূত পণ্য রপ্তানির অভিযোগ উপস্থাপন করে। কতিপয় অসাধু রপ্তানিকারক প্রতারণা ও অতি মুনাফার লোভের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানির সম্ভাবনাময় বাজার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। দ্রুততর রপ্তানির স্বার্থে সাধারণত কাস্টমস ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য কায়িক পরীক্ষার বিধান রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাজার ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ঢাকা কাস্টম হাউস শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানি চালান সর্বোচ্চ কায়িক পরীক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলেই উক্ত অনিয়ম দুইটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, কাস্টমসের এরূপ নজরদারি এবং আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এএ/জেবি)