জেরেমি নাকি থেরেসা

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জুন ২০১৭, ১০:১১ | প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০১৭, ০৮:৫৮

আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে গতকাল বুধবার শেষ মুহূর্তের প্রচারণার ব্যস্ত ছিল ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন, নাকি লেবার নেতা জেরেমি করবিন নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন বৃহস্পতিবার সে সিদ্ধান্ত জানাবেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা।

সর্বশেষ জরিপ বলছে, কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির ব্যবধান এখন ১ শতাংশের কম। লড়াইটা হতে পারে বেশ হাড্ডাহাড্ডি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক, অভিবাসন, জাতীয় ক্ষেত্রে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রিটিশদের ভূমিকা পালনে সক্ষমতার বিষয়গুলো মাথায় রেখে আজ ব্রিটিশরা নতুন সরকার গঠনের জন্য তাদের মতামত জানাবেন। ভোট গ্রহন সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। ভোটার চার কোটি সাত লাখের মতো। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল নাগাদ জানা যাবে কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি ব্রেক্সিটের (ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) পূর্ণ বাস্তবায়ন করবেন। অন্যদিকে লেবার নেতা জেরেমি করবিন সাত বছর ধরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভদের কৃচ্ছ্রসাধন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে জনকল্যাণমুখী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের এক বৈপ্লবিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

থেরেসা কিংবা করবিন যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন, নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যের বর্তমান চরিত্র যে আর টিকে থাকবে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত।

দেশটির পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নিজের ক্ষমতাকে আরও নিরঙ্কুশ করতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হুট করেই মধ্যবর্তী এই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তার এমন ঘোষণার পেছনে সাহস জোগায় বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্তঃকলহ। গত ১৮ এপ্রিল থেরেসা যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, তখন জনমত জরিপে ক্ষমতাসীনরা লেবারের চেয়ে প্রায় ২৪ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।

থেরেসা মে নির্বাচনের বিতর্ককে কেবলই ব্রেক্সিটকেন্দ্রিক রাখতে চেয়েছেন। জেরেমি করবিনের বৈপ্লবিক ইশতেহার আর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থেরেসার সেই চাওয়া ভেস্তে যায়। থেরেসা প্রচারণাজুড়েই বলেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য চাই স্থিতিশীল ও শক্তিশালী নেতৃত্ব, যা একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন। জেরেমি করবিনকে একজন দুর্বল নেতা আখ্যা দিয়ে তাকে ‘অযোগ্য এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি নমনীয়’বলে আক্রমণ করেছেন ক্ষমতাসীনেরা।

যুদ্ধবিরোধী হিসেবে পরিচিত করবিন এসব সমালোচনা পাত্তা না দিয়ে আঘাত করেছেন গতানুগতিক রাজনীতির মূল্যবোধে। দেশের সব নাগরিকের বিনা মূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যোগাযোগ, জ্বালানিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতগুলো সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে অর্থের অভাব নেই, কিন্তু এসব অর্থ গুটিকয়েক মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার।

(ঢাকাটাইমস/৮জুন/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :