পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৮

তিন দিনের পাকিস্তান সফর শেষে এবার সংক্ষিপ্ত সফরে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এর মধ্যে দিয়ে ১৬ বছর পর শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ডে পা রাখলেন ইরানের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাজধানী কলম্বোর বিমানবন্দরের অবতরণ করে ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদনিজাদ শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন।

রয়টার্স বলছে, রাইসির এই সফরে পাঁচটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। পাশাপাশি সেখানে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও উদ্বোধন করেছেন রাইসি, যার অর্থায়ন করেছে ইরান।

কলম্বো ৫১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি উদ্বোধন করে রাইসি বলেন, প্রযুক্তিগত এবং প্রকৌশল পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে ভারত মহাসাগর দ্বীপেদেশটিকে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইরান।

রাইসি বলেন, ‘আমরা সমস্ত এশিয়ান দেশ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারিত করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ যেটি ইরানের সঙ্গে নীতির সমন্বয় করেছে, উভয় দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করতে সহযোগিতাকে সক্ষম করেছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন সরকারের সঙ্গে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিটি করেছিল তেহরান। প্রকল্প ব্যয়ের সম্পূর্ণ অর্থের যোগান দেওয়ার কথা ছিল ইরানের। সেই অনুযায়ী প্রকল্পের শুরুর দিকে ৫ কোটি ডলার কলম্বোকে প্রদানও করেছিল ইরান। কিন্তু ওই বছরই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাঠানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল ইরানের পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন স্থগিত থাকার পর শ্রীলঙ্কার অর্থায়নে ফের কাজ শুরু হয় প্রকল্পটির।

তারপর করোনা মহামারি, পরিবেশকর্মী ও গ্রামবাসীদের আন্দোলনেও একাধিকবার বন্ধ হয়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি পুরোদমে চালু হলে দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হবে ২৯০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। পাশাপাশি ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমির সেচ এবং তিন জেলার হাজার হাজার পরিবারের পানির চাহিদাও মেটানো যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :