সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রত্যাহার, তদন্ত ও এসবি কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন কর্মকর্তা এবং আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তা বলা হয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এসময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর আওয়ামী লীগের সময়ে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তার মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় থাকছিলেন আবদুল হামিদ।
জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৮মে/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন