তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের আরেক স্বীকৃতি
টানা চতুর্থবারের মত এবারও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার “ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০১৭” অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের আইসিটি সংক্রান্ত বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তর জেনেভায় ১৩ জুন এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার।
এ বছর মোট চারটি মৌলিক উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য এটুআই ‘ডব্লিউএসআইএস’ সম্মাননা পেয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের “মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক” উদ্যোগটি চূড়ান্তভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এবং তিনটি উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিমেডিসিন প্রজেক্ট, পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এবং ই-নথি রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডব্লিউএসআইএস এর সম্মাননা গ্রহণ করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, এই অর্জন সমগ্র জাতির। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়’কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরণের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত অসংখ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে বিগত তিনবছর যথাক্রমে ২০১৪ সালে ডিজিটাল সেন্টার, ২০১৫ সালে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ২০১৬ সালে সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন ছাড়পত্র, শিক্ষক বাতায়ন এবং কৃষকের জানালা উদ্যোগসমূহ ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড) পুরস্কার অর্জন করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এজেড)
মন্তব্য করুন