ঢাকা, চট্টগ্রামে যানজট-জলাবদ্ধতায় সংসদে ক্ষোভ
রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে তীব্র যানজট ও জলাবদ্ধতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদের সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল। দেশের দুই প্রধান নগরীর এই পরিস্থিতি কেন মোকাবেলা করা যাচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বিশেষ করে ঢাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাধার মুখে পড়তে পারে।
বাদল বলেন, ‘বিনিয়োগরীরা সাতক্ষীরায় নামবে না। নামবে ঢাকায়। এই চেহারা দেখার পরে বিনিয়োগ করবে কি না, সেটা অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্যদের ভাবা উচিত।’
জাসদ নেতা বলেন, ‘আমরা আগাচ্ছি, কিন্তু মানুষ তো প্রশ্ন তুলবে, আপনার প্রধান দুইটা শহর, ঢাকা, চট্টগ্রাম যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা চার ঘণ্টা চলে যাবে। জলাবদ্ধতায় ডুবে যায়।’
বাদল বলেন, ‘মানুষ তো প্রশ্ন করবে, আপনার দুইটা প্রধান নগরকে জলাবদ্ধতা থেকে দূরে রাখতে পারেন না। প্রধান দুইটা নগরীতে তিন ঘণ্টা-চার ঘণ্টা মানুষকে রাস্তায় কাটাতে হয়।’
বাদলের মতে বাংলাদেশের বাজেটের দুর্বলতা হলো ‘প্রায়োরিটি কনসেপ্ট’ ও ‘কস্ট বেনিফিট রেশিও’। তিনি বলেন, ‘আজকে এমন এমন প্রকল্পে হাত দিচ্ছেন, সে প্রকল্পগুলো এই মুহূর্তে জরুরি ছিল কি না, সামনের ইতিহাস প্রশ্ন করবে।’
‘আপনি বলছেন মেগা প্রকল্পের কথা। কোথায় মেগা প্রকল্প? এটা আপনার প্রায়োরিটি রাখা উচিত ছিল না? আড়াই-তিন কোটি মানুষ, অর্থাৎ ১৬ জনের তিন জন এই শহরে থাকে। এই শহর দুটিকে আমরা কার্যকর করতে পারছি না’-বলেন জাসদ নেতা।
রাস্তা কাটাকাটিতে জনভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় না রাখায়ও ক্ষোভ জানান বাদল। এ ক্ষেত্রে তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত রাস্তা কাটার উদাহরণ দেন। বলেন, ‘এই ‘চার-পাঁচ মাইল যারা অতিক্রম করে, তারা সরকারের মা-মাসি প্রত্যেকদিন উদ্ধার করে। পার্লামেন্ট মেম্বারের আমার এখানে কোনো ভূমিকা নেই। আমার টাকা দেওয়া হয় না। কিন্তু সেখানে যে পরিমাণ গালাগালি মানুষ করে, সেই পরিমাণ গালাগালি হজম করা পার্লামেন্ট মেম্বারদের জন্য মুশকিল।’
‘আমি বলতে চাই, এই রাস্তার মা কে, বাবা কে, এই রাস্তা খুড়েছে কে? রাস্তা যদি খনন করে, তাহলে সঠিক সময় রাস্তাটা করতে পারছে না কেন। শীতের সময় মানুষ বালু খাচ্ছে এখন বন্যার সময় এত বড় বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে যে রিকশা পড়ে গেলে, মানুষ পড়ে গেলে সরকার ও এমপির মা মাসির ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার হচ্ছে। এই অদক্ষতা কার?’-ক্ষোভের সঙ্গে বলেন বাদল।
জাসদ নেতা বলেন, ‘এই অদক্ষতা আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। এই জায়গাটা পরিস্কার করতে না পারলে বড় কথা বলে আমাদের কোনো লাভ হবে না।’
ঢাকাটাইমস/১৯জুন/ডব্লিউবি