জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫টি ই-টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬-এর ১৫ ধারা অমান্য করে টেন্ডার আহ্বান করায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে থাকা মোট নয়টি কাজের পাঁচটির ই-টেন্ডারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।
ঐশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ হোসেন করা পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়া হয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খুরশিদুল আলম।
যে পাঁচটি ই-টেন্ডারের বিষয়ে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন সেগুলো হলো- ২৭ আগস্ট আহ্বান করা নোয়াখালির কবিরহাট উপজেলার ১০ শয্যা বিশিষ্ট ধানসিঁড়ি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নিমগাঁওয়ের ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ, ২৪ আগস্ট আহ্বান করা গাজীপুরের কাপাসিয়া নার্সিং কলেজ ও হোস্টেল ভবন বর্ধিতকরণ, ২০ আগস্ট আহ্বান করা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ থেকে ১০০ শয্যা উন্নীতকরণ, সংস্কার ও মেরামত, ১৭ আগস্ট আহ্বান করা রংপুর জেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং একই তারিখে আহ্বান করা সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেডিকেল ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নির্মাণ, এফডব্লিউভিটিআই নির্মাণ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ।
ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬-এর ১৫ ধারা অমান্য করে এই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। এখানে কাজের মূল্য তালিকা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের মূল্য তালিকা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকী এসব কাজের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্ধারিত বিধিও অমান্য করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এমএবি/এমআর