কমেছে আউশ-বোরোর উৎপাদন, বেড়েছে আমন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৪৬ | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৪১

২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আউশ ধান, বোরো ধান ও গম উৎপাদন কম হয়েছে। কিন্তু বেড়েছে আমন ধান, আলু, ভুট্টা ও সবজির উৎপাদন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, বিবিএসের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জুয়েনা আজিজ, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ২২ দশমিক ৮৮ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদন হয়েছিল। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ২১ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টনে নেমে আসে। ‍তিনি জানান, তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমন উৎপাদন বেড়েছে। এই অর্থবছরে ১৩৬ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন আমন উৎপাদন হয়েছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ১৩৪ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন।

আগাম বন্যায় এবার বোরো ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান বিবিএস সচিব। তিনি বলেন, মার্চ থেকে মে- এই তিন মাস বাংলাদেশে বোরোর চাষ হয়। গত অর্থবছর এই মৌসুমে ১৮৯ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল। এবার বন্যার কারণে তা কমে হয়েছে ১৮০ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে গম উৎপাদনও আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কমেছে বলে জানান মোজাম্মেল হক।

তবে গত অর্থবছর আলুর ও ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যেখানে ৯৪ দশমিক ৭৪ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল, সেখানে ২০১৬-১৭ সময়ে হয়েছে ১০২ দশমিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন। আর ভুট্টা ২৪ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন থেকে হয়েছে ২৭ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয়েছে। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন।

সবজি এবার বেশি উৎপাদিত হয়েছে তারপরও কেন সবজির দাম কমছে না, এ প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্থফা কামাল বলেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়া গ্রাম থেকে শহরে সবজি আসতে পরিবহন ভাড়া বেশি। আমাদের ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতাও অধিক। একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সরকার গ্রামগুলোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে এক হাজার চারশ প্রকল্প চলমান আছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে চাকরির জন্য শহরে আসতে হবে না, গ্রামেই মিলবে চাকরি। মন্ত্রী বলেন, একশটি বিশেষ ইকোনোমিক জোন গ্রামেই হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মধ্যবিত্তের সংখ্য বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন মধ্যবিত্ত মানুষ আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এশিয়ান টাইগার। ২০৪০ সালে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। তখন মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৯০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে যা আছে এক হাজার ৬১০ ডলার। আমরা টেকসইভাবে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি এবাং আমাদের সক্ষমতা ভালো।

মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বিদ্যুৎ খাতে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নগরীর ঝিলমিল প্রকল্পে মালয়েশিয়া-অস্ট্রিয়া এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক এখন বাংলাদেশের দিকে।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/জেআর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

লু’র সফরে ভিসানীতি ও র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

আসন্ন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

বলিপাড়া-রুমা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন সেনাপ্রধান

অটিজম সম্পর্কে সমাজের সবাইকে সচেতন করতে হবে: স্পিকার

‘নারী কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবে মন্ত্রণালয়’ 

সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: নানক

হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :