রাজধানীতে চলছে শুধু বিআরটিসি
টানা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে রাজধানীতে বিআরটিসি ছাড়া কোনো বাস চলছে না। রবিবার সকালে রাস্তায় বিআরটিসি বাসের সংখ্যা তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমে।
রাজধানীর ২১টি ডিপো থেকে বাসগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বাসেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসগামী কর্মজীবী মানুষকে দৌড়ঝাঁপ করে বাসে উঠতে দেখা গেছে।
তবে নারী যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বাসে উঠতে অনেক নারী যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কল্যাণপুরে কথা হয় পারভীন নামে এক নারীর সঙ্গে। ঢাকাটাইমসকে বলেন, শাহবাগ বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে তার বাবা ভর্তি। তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে তিনি সেখানে যাবেন। কিন্তু ভিড়ের কারণে বাসে উঠতে পারছেন না। আবার সিএনজিতেও ভাড়া বেশি।
মহাখালী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান আল গালিব জানান, দুপুরে পরীক্ষা থাকলেও সঠিক সময়ে ভার্সিটিতে পৌঁছাতে পারছেন না। যে বাস (বিআরটিসি) আসছে তাতে যাত্রীর চাপ বেশি। সর্বশেষ তিনি হেঁটেই রওনা দেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ডিজিএম (অপা.)-২ কাজী নাসিরুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'রাজধানীর প্রতিটি ডিপো থেকে এসি, নন-এসি, ডাবল টেকার, দ্বি-তলা সব বাস চলছে। গণপরিবহন ও বিআরটিসি রাজধানীতে যে পরিমাণ যাত্রী বহন করে সেই তুলনায় অপ্রতুল। যা যাত্রীদের সার্ভিস দিতে পারছে না। তবুও ধর্মঘটে অনেক যাত্রী বিআরটিসির মাধ্যমে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।'
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এসএস/জেবি)