মহাকাশের ঝাঁটা ধুমকেতু

আবদুল গাফফার রনি, প্রদায়ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ১২:০৩| আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:৪৪
অ- অ+

ধুমকেতু মহাকাশের এক আজব বস্তু। মাঝে মাঝেই আমাদের আকাশে ধূমকেতু উদয় হয়। কিছুদিন পর আবার তা হারিয়ে যায়। দেখতে অনেকটা ঝাঁটার মতো। কারও কারও আবার লেজ আছে। বস্তুটা খুবই উজ্জল। দেখলে মনে হয় যেন আলোর তৈরি কোনও ঝাঁটা। আসলে ধুলো, বরফ ও গ্যাস দিয়ে তৈরি একধরনের উজ্জল বস্ত। এর চলার পথ গোলাকার নয়। বেশ লম্বাটে। তাই প্রতিবছর একই ধূমকেতু দেখা যায় না। তবে একটা ধূমকেতু নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিরে আসে। ধূমকেতু যখন সূর্যের খুব কাছ দিয়ে যায়, তখন আমরা একে দেখতে পাই। ধূমকেতুর মাথার গোল অংশটাকে বলে নিউক্লিয়াস। সব ধুমকেতুর আকার একরকম নয়। কিছু ধুমকেতুর প্রস্থ মাত্র কয়েকশো মিটার মাত্র। কিছু ধুমকেতর প্রস্থ আবার দশ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। এদের লেজের দৈর্ঘ্যে কয়েকশো কোটি কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে।

ধুমকেতু উল্কা বা গ্রহাণু থেকে আলাদা। কারণ এদের দেহ ও লেজের স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। কিছু ধূমকেতু সূর্যের খুব কাছ দিয়ে বারবার আসা-যাওয়া করে। সূর্যের তাপের প্রভাবে এদের বরফ ও ধূলাবালি ক্ষয় হয়। ফলে লেজ হারিয়ে গ্রহাণুর মতো বস্তুতে পরিণত হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৫৩৮৪ টি ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করা গেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন একশো কোটিরও বেশি ধুমকেতু রয়েছে আমাদের সৌরজগতে।

হ্যালির ধুমকেতু সবচেয়ে বিখ্যাত। ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি এই ধুমকেতুটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন। হ্যালি হিসেব করে দেখান প্রায় ৭৬ বছর পর পর ধূমকেতুটি পৃথিবীর আকাশে দেখা যায়। পরে প্রমাণ হয় হ্যালির অনুমান ঠিক। তাই হ্যালির নামানুসারে একে ডাকা হয় হ্যালির ধুমকেতু বলে। ধুমকেতুটিকে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৮৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। আবার ২০৬১ সালের ২৮ জুলাই একে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় পুলিশ সদস্য আহত
সরিয়ে দেওয়া হলো জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিমকে
দেশের বাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
চট্টগ্রামে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা পক্ষ শুরু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা