সারাদেশে চলছে খানা শুমারি, শেষ হবে ২৩ এপ্রিল

এক পাকে খাবার খান এবং একসঙ্গে বসবাস করেন এমন পরিবারগুলোর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের জন্য খানা-শুমারি চলছে সারাদেশে। গত ৪ এপ্রিল শুরু হয়েছে খানা-শুমারি, শেষ হবে ২৩ এপ্রিল।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচপি) প্রকল্প হিসেবে এই শুমারি পরিচালিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিশ্বব্যাংকও।
এক পাকে খাবার খান এবং একসঙ্গে বসবাস করেন সাধারণভাবে এমন মানুষগুলোকে নিয়ে একটি খানা গঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ প্রকল্পের উদ্যোগে দেশের সকল খানা’র আরথ-সামাজিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে একটি জাতীয় তথ্যভাণ্ডার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
খানাভিত্তিক তথ্যভাণ্ডারে দেশে আর্থ-সামাজিক চিত্র ও উন্নয়ন অগ্রগতি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে সহায়তা করবে, যা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে প্রয়োজনীয় সহায়ক তথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য সহায়ক হিসেবে এ তথ্যভাণ্ডার ব্যবহৃত হবে। তাছাড়া, সরকারের অন্যান্য সেবাসমূহ দ্রুত জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য এ তথ্যভাণ্ডার নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করবে।
খানা’র তথ্য প্রদানের সময় তথ্য-সংগ্রহকারীকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ দেখাতে হচ্ছে। শুমারির কাজে জনগণ যেন সহায়তা করে সেজন্য মোবাইল কোর্টের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। আনুষ্ঠানিকভাবে খানা তথ্য ভান্ডার শুমারি-২০১৭ কার্যক্রম শুরু হয়ে নীলফামারী জেলা থেকে।
৪ এপ্রিল সকাল দশটায় জেলা শহরের ৮নং ওয়ার্ডের শুমারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন। সেখানকার বাসিন্দা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী রবিউল আলমের বাড়িতে খানা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জেলায় শুমারি কার্যক্রমের শুভ সূচনা করা হয়। কার্যক্রম পরিচালনায় দুই জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারীর তত্ত্বাবধানে ছয় জন উপজেলা সমন্বয়কারী, ৮৪ জন জোনাল অফিসার, এক হাজার সুপারভাইজার এবং ২৫শ গণনাকারী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র আয়োজনে শুমারি কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস ও ভারতীয় আইটি সংস্থা জিরোক্স।
পরিসংখ্যান ব্যুরো নীলফামারী উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, শুমারি কার্যক্রম পরিচালনায় উপজেলা সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার, সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্নে। প্রথম পর্যায়ে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে এনএইচডি কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় শুমারি সম্পন্ন হবে বলে জানায় দপ্তরটি।
ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এসএএফ

মন্তব্য করুন