মেহেদী কী হেরে যাবে ছয় লাখ টাকার জন্য?
চাঁদপুরের কৃতি সন্তান তানিন মেহেদী ভর্তি হয়েছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সাংবাদিকতা বিভাগে। বাবা নেই। পরিবার বলতে রয়েছে মা আর বোন। পড়াশুনা শেষে আর কদিন পরেই ইচ্ছা ছিল সংসারের হাল ধরার। সে ভাবেই এগুচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু পথের কাটা হয়ে দাড়িয়েছে মরণব্যধি ঘাতক ক্যান্সার। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
পরিবারের সহায় সম্বল বেচে তাকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে তার পরিবার। তার সহপাঠী বন্ধুরাও বাড়িয়েছে সাহার্য্যের হাত। তারপরও থেমে গেছে চিকিৎসা।
এরই মধ্যে হাসপাতালে বাকী পড়েছে এক লাখ ভারতীয় রুপী। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় দরকার আরও ছয় লাখ টাকা।
তানিন মেহেদীর প্রতিবেশীরা জানায়, ছোটবেলা থেকেই নিজ চেষ্টায় পড়াশুনা করে আসছিল। বছর কয়েক আগে পায়ের টিউমারের অপারেশনের পর ২০১৬ থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত মেহেদী। দারিদ্রতার কারণে মুখ ফোটে কখনও প্রকাশ করেনি সেই যন্ত্রণার কথা। সদা হাস্যজ্বল ছেলেটিকে দেখে বুঝার উপায়ও ছিলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বেশ কিছুদিন পর তার সহপাঠীরা জানতে পারে মরণব্যাধি সেই রোগের কথা।
এরপর থেকেই বিভাগের শিক্ষক আর বন্ধু-সহপাঠীরা শুরু করেন আর্থিক অনুদান সংগ্রহ। তাকে সুস্থ করে তুলতে এখনো চেষ্টা চলছে।
তানিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার জন্য ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয় মেহেদীকে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর অপারেশন শুরুর পর দেখা দেয় আরও জটিলতা। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে বাকী পড়ে আছে প্রায় দেড় লাখ রুপী। টাকা জমা না দিলে মিলছে না ছাড়পত্র।
এছাড়াও অপারেশন পরবর্তী থেরাপি, ওষুধপত্র এবং ভারতে তিনমাস অবস্থান সব মিলিয়ে আরও প্রায় ছয় লাখ টাকার প্রয়োজন মেহেদীর সুস্থতার জন্য। অথচ সেই টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা।
বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনের নির্মম দিকটিই দেখছে মেহেদী। তাকে এ অবস্থা থেকে তুলে এনে আবারও ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে ফেরাতে চান তার পরিবার ও সহপাঠীরা।
এজন্য প্রয়োজন মানবিক সহায়তা। আপনার একটু আর্থিক সহযোগিতাই পারে একটি মেধাবী মুখকে বাঁচিয়ে রাখতে।
মেহেদীকে সাহায্য পাঠাতে পারেন ব্যাংক হিসাব নম্বর, বিকাশ ও রকেটে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
ইয়াসির আরাফাত
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড একাউন্ট নং-২৭৩১০৫০৯০৩
ময়নামতি ব্রাঞ্চ, ক্যান্টনম্যান্ট, কুমিল্লা