'জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা' বই পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:৩১| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:৩৯
অ- অ+

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন শতাব্দী প্রাচীন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পাঁচ পুরুষের বংশপরিক্রমায় জানা যায়, পূর্বপুরুষের ইসলামধর্ম প্রচারের উপলক্ষেই এই দেশে আগমন ঘটেছিল। অর্থাৎ ইসলামের মূল্যবোধ এই দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। বংশের ধারাবাহিকতায় মানবজীবনে ইসলামিক আদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে ইসলামের সত্যিকার মর্মবাণী, কল্যাণকর মানবিক চেতনায় লালন করে সুদূরপ্রসারী কর্মপন্থা গ্রহণ করেন। এদেশের মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে হাজার বছরের এই শিক্ষা পদ্ধতি দেশ ও জাতির সামনে সম্মানিত একটি জায়গায় নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ এবং পাঠাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ইসলাম ধর্মের প্রতি সেবা ও ভালোবাসার বিষয়টি সামনে রেখে 'জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা' নামে বই লিখেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, এফবিসিসিআই পরিচালক ও ভোরের পাতা সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান।

শনিবার রাতে বইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। এ সময় ইসলামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং লেখককে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। বইটি জননেত্রী শেখ হাসিনার মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে উৎসর্গ করায় প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল চলে আসে। পুরো বইটি সময় করে পড়বেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা বইটিতে রয়েছে তাঁর ধর্ম বিশ্বাস, ইসলামের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ, মানুষের জন্য গভীরতম ভালোবাসা। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকে জানতে পারবেন কারা সত্যিকারে ইসলামকে ভালোবাসে।

এরতেজা হাসান বলেন, অলি-কামেলদের বংশধরের একজন আজকের জননন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা। যার রক্তে রয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের সত্যিকার গভীরতম ভালোবাসা। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণের পর দেশের অর্থনৈতিক থেকে আপামর জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। যা আজ সর্বজন স্বীকৃত মানবিক উন্নয়নের সঠিক ধারা। বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ অবধি এই রকম ইসলামিক আদর্শকে সম্প্রসারণের কর্মপন্থা কোনো রাষ্ট্রনায়ক গ্রহণ করেননি।

‘তাই বাংলাদেশের মুসলমান জনগোষ্ঠী তাকে একজন ইসলামের আদর্শ সৈনিক মনে করে। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধর্ম পরিচয়কে স্পষ্ট করেই সংগ্রামে নেমেছিলেন। তাই তাকে বিধর্মী বানানোর অপচেষ্টা হীনমন্যতার নামান্তর। যারা তাঁর সত্য পরিচয় অস্বীকার করে তারা হয়তো রাসুলের উম্মত হিসেবে বিবেচিত হবে না। কারণ ইসলামে শুধু সত্যেরই স্থান আছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যা মিথ্যা, কলুষিত, পচা, ধর্মের নামে ভণ্ডামি, জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ তা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষের আদর্শ হতে পারে না।’

ড. এরতেজ বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তীতে ইসলামের মর্মায়িত সুন্দর বাণী মানুষের মাঝে পৌঁছোনোর জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’। যা আজ সত্যিকার ইসলাম প্রচারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। ইসলামের ভণ্ড-কুচক্রীরা বঙ্গবন্ধুর মতো মহান একজন মুসলমানকে অমুসলিম বানানোর জন্য অপপ্রচার করে। তারা কি মুসলমান?

‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কুচক্রীরা আবারো বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী, মানবতার জননী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ধর্মের জিকির তুলে মাঠে নেমেছে। তাদের ওই হীন অপচেষ্টা উন্মোচন করার জন্য গ্রন্থটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করেন বলে জানান ড. কাজী এরতেজা হাসান। এ অবস্থায় জামায়াত বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে কমপক্ষে ৫ লাখ বই বিতরণ করা হয়েছে।’

ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, আর আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি এমন একজন ইসলামের সেবককে নিয়ে এই গ্রন্থটি রচনা করার তৌফিক আল্লাহতায়ালা আমাকে দান করেছেন।

ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ অতঃপর মন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল…
এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি দেশে ফিরেছেন
মুরাদনগরে ধর্ষণ: তারকাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ
আট জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা