ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি তামাশা: কাদের
ভোট নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে কামাল হোসেনকে বিচারক রাখায় তা গণ তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘গণশুনানি নয় এটা গণতামাশা।’
আগের দিন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের জানান, গণশুনানিতে বিচারক থাকবেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ তারিখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে গণশুনানি। এই শুনানিতে একটা আদালত থাকবে, বিচারমঞ্চ থাকবে। আমাদের স্যার ড. কামাল হোসেন বিচারক হিসেবে থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণশুনানি তো গণতামাশা। যেই গণশুনানির প্রধান বিচারপতি ড. কামাল হোসেনের নাম আসে, সেটা কি গণশুনানি? সেটা তো গণ তামাশা।’
গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে কারচুপি আখ্যা দিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করেছে ঐক্যফ্রন্ট। দেশবাসীর কাছ থেকে ভোটের অভিজ্ঞতা জানতে এই কর্মসূচি নিয়েছে তারা।
ড. কামাল হোসেনের দাবি, ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু ভোট হয়নি। তিনি সেই নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে নতুন করে ভোট দেওয়ার দাবি তুলছেন।
নির্বাচন বাতিল ও পুনরায় ভোট চেয়ে বিএনপির সাত প্রার্থী হাইকোর্টে মামলাও করেছেন। এ বিসয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন আন্দোলনে, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, আন্দোলনেও পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ আর মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোন পথ খোলা থাকে না। এইসব করে হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা রাখাই হলো তাদের উদ্দেশ্য।’
‘এছাড়া্ তো আর কোনো অবলম্বন তাদের নেই। আর কোনো পুঁজিও নেই। এখন মামলা আর নালিশই তাদের সম্ভল। মাঝে মাঝে চোখের পানি ঝড়ানো। যখন পারবে না, তখন কান্নাকাটি শুরু করে দেবে। বেগম জিয়া জেলে আছে বলে, কান্নাকাটি শুরু করবে।’
‘আর ট্রাইব্যুনালে মামলা হচ্ছে তাতে অসুবিধা কি। মামলা হলে মামলা আমরা ফেইস করবো, অসুবিধা কি।’
'দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্র'-১৪ দলের শরিকদল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষোভ-দুঃখ থেকে তিনি এ কথা বলতে পারেন। তবে তার এ বক্তব্যে ব্যাখা জানান নেই।’
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থীর রদবদল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘তৃণমূলের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত করেই রদবদল করা হয়েছে। তবে এর সংখ্যা বেশি নয়, ৪-৫ টি।’
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন নির্ধারিত সময় অক্টোবর মাসেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘অক্টোবরের ২৩ তারিখ আমাদের সম্মেলন হয়েছিল। অক্টোবরেই আমাদের সম্মেলনের চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এই ব্যপারে কথা হয়েছে।’
গণমাধ্যমের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের সর্বশেষ খবর জানতে চাইলে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কমিটির প্রধান। একটা মিটিং আমরা করেছি। শিগগির আমরা আরেকটি মিটিংয়ে উপস্থিত হবো। যত দ্রুত সম্ভব, বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধোনের ব্যপারে উদ্যোগী হয়েছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।’
নবম ওয়েজবোর্ডের আওয়তায় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া থাকছে কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে ইনক্লোডিং করার একটা প্রস্তাব আছে। আমাদেরও বিবেচনায় আছে।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/টিএ/ডব্লিউবি